সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালাগুলো যেন ছটফট করছিল। অন্যকে বন্দি রাখতে গিয়ে ওদেরও একটানা বন্দিদশা কাটাতে হয়েছে। প্রাচীন ইঁট, পাথরের খাঁজে খাঁজে শ্যাওলা জমার মতো জং ধরছিল তালার শরীরেও। করোনা আবহে লকডাউনে (Lockdown) ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ দেশের বহু ঐতিহ্যবাহী স্থান, স্মৃতিসৌধ। এবার অন্যকে মুক্তি দিয়ে নিজেদেরও মুক্ত করার পালা। তালা খুলে যাচ্ছে ASI-এর অধীনস্থ ঐতিহ্যবাহী সৌধগুলির। সোমবার থেকেই সেখানে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার মিলছে। তবে সংক্রমণের ভয় এখনও আছে। তাই একগুচ্ছ বিধিনিষেধ মেনেই এসব জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ বিরতির পর সুরক্ষাবিধি মেনে পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে কালিম্পংয়ের মর্গ্যান হাউস]
শুক্রবার কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল ঘোষণা করেছেন, ASI-এর অধীনে দেশের যেখানে যা ঐতিহাসিক সৌধ আছে, তা ৬ জুলাই থেকে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। করোনা সংক্রমণের আবহে মার্চে ২৫ তারিখ দেশে লকডাউন শুরু হওয়ার সময় থেকেই টানা বন্ধ ছিল এই স্থানগুলি। তবে সব কিন্তু খুলছে না। কোন জায়গা, কীভাবে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে, তার গাইডলাইন দিয়েছে কেন্দ্র।
सांची (मध्यप्रदेश),पुराना किला (दिल्ली),खजुराहो (विश्व धरोहर) के प्रतीकात्मक चित्र।मैने @MinOfCultureGoI @ASIGoI के साथ निर्णय लिया है कि आगामी ६जुलाई से सभी स्मारकों को पूर्णसुरक्षा के साथ खोले जा सकता है @PMOIndia @JPNadda @incredibleindia @tourismgoi @MinOfCultureGoI @BJP4MP pic.twitter.com/opPzj5Mg7l
— Prahlad Singh Patel (@prahladspatel) July 2, 2020
বলা হয়েছে, Containment Zone-এর কোনও দর্শনীয় স্থান খোলা হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে চললেও, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে, তাদের অনুমতি নিয়েই খুলতে হবে ঐতিহ্যবাহী স্থান। এছাড়া –
- শুধুমাত্র অনলাইন টিকিট দিতে হবে। কাউন্টার খুলে হাতে হাতে কাগজের টিকিট দেওয়া যাবে না।
- পার্কিং বা কাফেটেরিয়ায় অনলাইন পেমেন্ট করতে হবে, নোট ব্যবহার করা যাবে না।
- সৌধ এবং তার মধ্যেকার সংগ্রহশালা রোজ নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। কর্মীদের কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
- প্রবেশদ্বারে দর্শনার্থীদের জন্য রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
- কারও মুখে মাস্ক না থাকলে, তাঁকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। দর্শনার্থীদের থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক।
[আরও পড়ুন: এই শর্ত মানলেই ‘ঈশ্বরের আপন দেশে’ হানিমুনে যেতে পারবেন নবদম্পতিরা]
এ তো গেল স্মৃতিসৌধগুলির দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের জন্য নিয়মকানুন। এবার দর্শনার্থীদের জন্য কী কী বিধিনিষেধ রয়েছে, তা একবার দেখে নেওয়া যাক –
- সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখে এসব জায়গায় প্রবেশ করবেন দর্শনার্থীরা। মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক।
- কোনও গ্রুপ ফটোগ্রাফি চলবে না।
- ভিতরে কোনও খাবার, জল নিয়ে প্রবেশ নিষেধ।
এই সামান্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখলেই, করোনা আবহেও আপনি ঘুরে বেড়াতে পারেন নিশ্চিন্তেই।