সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে এক গাল হাসি নিয়ে নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন জনা সত্তর শিক্ষানবীশ ডাক্তার৷ তাঁদের প্রত্যেকেরই হাতে রয়েছে নিজ নিজ পোষ্য৷ ওদের হাতে নিয়েই ফটোশুট করলেন তাঁরা৷ কিন্তু কেন?
[ আরও পড়ুন: ৭০০০ কিলোমিটার জুড়ে আঁকা ‘MARRY ME’! গিনেস বুকে নাম তুললেন জাপানি যুবক ]
না, মজার ছলে বা কোনও ব্যবসায়ীক স্বার্থে একাজ করলেন না কুইন্সল্যান্ডের জেমস কুক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সত্তর জন শিক্ষানবীশ ডাক্তার৷ এর পিছনে রয়েছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কারণ৷ আরও ভাল করে বলতে গেলে প্রকারন্তরে সমাজসেবাই করলেন তাঁরা৷ রোজগারের জন্য নয়, বরং মানবসেবার উদ্দেশ্যে পোশাক খুলেলেন৷ গায়ে একটা সুতোও নেই, অথচ পায়ে চামড়ার বুট ও মাথায় ‘কাউবয়’ হ্যাট চাপিয়ে তাঁরা দাঁড়িয়ে পড়লেন ক্যামেরার সামনে। পেশাদার মডেলদের মতোই সাবলীল ভাবে পোজ দিলেন৷ উদ্দেশ্য একটাই, ওই নগ্ন ছবি দিয়ে একটা ক্যালেন্ডার তৈরি করা৷ এবং সেই ক্যালেন্ডার বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হবে তার বৃহদাংশ খরা কবলিত এলাকার কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া৷
[ আরও পড়ুন: জন্মের সময় ওজন ছিল ৩০০ গ্রাম, আটমাসের কঠিন লড়াইয়ে বাঁচল শিশু ]
এই পড়ুয়াদেরই একজন জানান, ‘‘একটানা পড়াশোনা ও পরীক্ষার চাপ থেকেও স্বস্তি পেতেই, এমন একটা পরিকল্পনা করেছিলাম৷ তারপর সেই পরিকল্পনাকে মানবিক দিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করি৷ এটা একদম নতুন একটা অভিজ্ঞতা। প্রথমে সকলের মধ্যেই খানিকটা ইতস্তত ভাব ছিল, পরে শুটিং শুরু হওয়ার পর আর কোনও সমস্যা হয়নি। বরং শুটিংয়ের সময় বেশ মজার মজার ঘটনা ঘটেছিল। নগ্ন অবস্থায় সারমেয়দের সামলানোও বেশ কঠিন কাজ ছিল।’’ তাঁরা আরও জানান, উপার্জিত অর্থের বেশির ভাগটা কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার পর বাকি টাকাটা রাখা হয়েছে কলেজের বার্ষিক উত্সবের জন্য। কেবল এবছর নয়, আগামী বছরও একই ধরনের ক্যালেন্ডার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে এই পড়ুয়াদের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.