Advertisement
Advertisement
পিঁয়াজ চুরি ঠেকাতে

চোরের টার্গেট মহার্ঘ্য পিঁয়াজ! খেত থেকে চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা

খেতে কুঁড়েঘর বেঁধে রাতপাহারায় চাষিরা।

Farmers keep strict vigil to stop onion theft in Bangladesh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 7, 2019 3:23 pm
  • Updated:December 7, 2019 3:23 pm

সুকুমার সরকার,ঢাকা: চোর ঘরে ঢুকে মহমূল্যবান সামগ্রী চুরি করে। সেটাই এতদিন ধরে হয়ে আসছে। কিন্তু এই অগ্নিমূল্যের বাজারে চোরদের টার্গেট সোনা, রূপো, টাকাপয়সা নয়। বরং খেতের পিঁয়াজ। তা টের পেয়েই যেটুকু পিঁয়াজ খেতে ফলেছে, তা চোরের হাত থেকে বাঁচাতে রাতপাহারায় নামলেন চাষিরা।

খেত থেকে পিঁয়াজ চুরি ঠেকাতে বাংলাদেশের চাষিরা রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন মাঠেই। একেবারে কুঁড়েঘর বেঁধে বিনিদ্র রজনী পোহাচ্ছেন সকলে। কোন ফাঁকে চোরের করায়ত্ত হয়ে যায় কষ্টের, মহার্ঘ্য পিঁয়াজ! বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় নওদাবগা, সরলিয়া, খাবুলিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা পিঁয়াজ চুরির আতঙ্কে রয়েছেন। তাই শীতের রাতেও কষ্ট করে মাঠে পাহারা দিতেই হচ্ছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘রাতটা বরবাদ হল’, চুরি করতে গিয়ে খালি হাতে ফেরা চোরের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল চিঠিতে]

নওদাবগা এলাকার সোনাউল্লাহ বলেন, ”প্রতি রাতেই কোনও না কোনও এলাকায় পিঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের বাজারে নতুন পিঁয়াজ ওঠা ও বিভিন্ন দেশ থেকে ব্যাপক হারে পিঁয়াজ আমদানি সত্বেও কেজি প্রতি ১৩০ টাকার নিচে তা মিলছে না। আমার খেত থেকেও কিছু পিঁয়াজ চুরি হয়েছে। এ কারণে আমি আমার জমিতে পাহারা বসিয়েছি।” আউচারপাড়া, ভিকনেরপাড়া, জন্তিয়ারপাড়া, খাটিয়ামারি-সহ আরও অনেক এলাকা থেকে পিঁয়াজ চুরির খবর পাওয়া গেছে, যাতে বেশ চিন্তিত চাষিরা। জেলার খাবুলিয়া, জন্তিয়ারপাড়া ও আউচারপাড়া চরের ছ’টি চাষির জমি থেকে পিঁয়াজ চুরি হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: চারতলা থেকে নিচে পড়েও রক্ষা শিশুর! চমকে দেবে ভাইরাল ভিডিও]

এছাড়া মধ্য দিঘলকান্দি গ্রামের ইয়াসিন ব্যাপারি জানিয়েছেন যে রাতে তাঁর দুই শতক জমির পিঁয়াজ চুরি হয়েছে। শিমুলতাইড়, দিঘলকান্দি, মহব্বতের পাড়া, কর্পূর, মূলবাড়ি, ফাজিলপুর, মহিচরণ, বালুয়াহাট, মধুপুর, হরিখালি, পাকুল্লা এলাকায় পিঁয়াজ চুরির খবর পাওয়া গেছে। সোনাতলা থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরি বলেন, তিনিও বিভিন্ন গ্রামে খেত থেকে পিঁয়াজ চুরির কথা শুনেছেন। তবে এ নিয়ে লিখিতভাবে কেউ কিছু জানায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ