Advertisement
Advertisement
House Arrest

উন্মুক্ত বুকে সাবান মাখানো, সেক্স পজিশন শেখানো! দেখুন আর কী হয় এজাজের ‘হাউস অ্যারেস্টে’?

রিয়ালিটি শোয়ের এসব দৃশ্য দেখলে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য!

কুৎসিত কন্টেন্টের গেরোয় এজাজ খান। তাঁর 'হাউস অ্যারেস্ট' শো ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। অভিযোগ, যৌনরসে ভরপুর এই শোয়ে প্রতিযোগী জুটিদের রকমারি ‘সেক্স পজিশন’ দেখাতে হয়। এখানেই শেষ নয়!

শোয়ের প্রতিযোগিদের যেরকম 'খেলকুদের' চ্যালেঞ্জ নিতে হয়, সেসব দেখলে কিংবা শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য! কখনও স্নানঘরে কেউ কারও ভেজা শরীরে সাবান মাখিয়ে দিচ্ছে তো আবার কখনও বা ব্যায়ামের ভঙ্গিতে একে-অপরের শরীরে যৌনভঙ্গিতে মিশে যাচ্ছে!

অভিযোগ উঠেছে 'হাউস অ্যারেস্ট' শোয়ে যোগ দেওয়া প্রতিযোগীদের পোশাক নিয়েও। গোটা শো জুড়ে শুধুই স্বল্পবসনা নারীদের রকমারি কীর্তিকলাপের মেলা। আর এজাজ খানের এমন বিচিত্র শো নিয়েই রেগে কাঁই বজরং, শিবসেনা (উদ্ধব শিবির) দল।

‘বিগ বস’-এর ধাঁচে তৈরি ‘হাউস অ্যারেস্ট’ রিয়ালিটি শোর একটি পর্বে দেখানো হয়, একজন প্রতিযোগী বেশ খোলামেলাভাবে ‘কামসূত্রে’ উল্লেখিত যৌন ভঙ্গিমা নিয়ে আলোচনা করছেন।

এমন কুরুচিকর কন্টেন্টের শোয়ের সঞ্চালক হিসেবে বিতর্কিত অভিনেতার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই FIR দায়ের হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে উল্লু অ্যাপ থেকেও তুলে নেওয়া হয় 'হাউস অ্যারেস্ট' শোটি।

বিতর্কের সূত্রপাত একটি ভাইরাল ভিডিও ক্লিপকে ঘিরে। যেখানে শোয়ের সঞ্চালক এজাজ খানকে পুরুষ-মহিলা প্রতিযোগীদের ‘সেক্স পজিশন’-এর অভিনয় করে দেখানোর নির্দেশ দিতে শোনা যায়। এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিকমহলের ব্যক্তিত্বরাও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন।

বিতর্ক এবং এজাজ খান যেন একে-অপরের সমার্থক। ২০২১ সালে মাদককাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে টানা দু’বছর হাজতবাস করতে হয়েছিল তাঁকে। তেইশ সালে জামিন পেয়ে জেলের বাইরে এলেও তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। নিজেকে ‘নেটপ্রভাবী’ বলে দাবি করা এজাজ খানের ‘হাউস অ্যারেস্ট’ শো ঘিরে এবার বিতর্ক তুঙ্গে!

‘হাউস অ্যারেস্ট’ রিয়ালিটি শো সম্প্রচারিত হত উল্লু অ্যাপে। বজরং দলের সদস্য গৌতম রাবরিয়াই প্রথম এজাজ খান এবং এই শোয়ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে শুক্রবার রাতে মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করে বিতর্কিত অভিনেতার বিরুদ্ধে।