Advertisement
Advertisement
Test Cricket

ব্র্যাডম্যান-লেকার থেকে শচীন-লারা, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ১০টি ‘অমর’ রেকর্ড

তালিকায় রয়েছেন আর কোন কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা?

১০

ডন ব্র্যাডম্যান: তাঁর ব্যাটিং গড় ৯৯.৯৪। পরিসংখ্যানটিই সবচেয়ে বড় বিস্ময়। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অবিনশ্বর এই রেকর্ডের ধারেপাশে কেউ নেই। ব্র্যাডম্যান যখন শেষ টেস্টে নামলেন, তখন তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ১০১.৩৯। মাত্র চারটে রান করলেই কেরিয়ার শেষ করতেন সেঞ্চুরি গড় দিয়ে। কিন্তু ইংরেজ লেগ স্পিনার এরিক হলিসের গুগলিতে স্বপ্ন ভেঙে যায় ব্র্যাডম্যানের। নিজের ৫২তম টেস্টের শেষ ইনিংসে শূন্য করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন কিংবদন্তি অজি ক্রিকেটার। গড় নেমে আসে ৯৯.৯৪-এ।

১০

অবিশ্বাস্য গড়ের জন্য ইতিহাস তাঁকে মনে রাখে। ব্র্যাডম্যানের নামের পাশে আরও একটি অবিনশ্বর নজির। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছয় ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৯৭৪ রান। অর্থাৎ, কোনও একটি সিরিজে প্রায় হাজারের কাছাকাছি রান করার অনন্য নজির আর কারওর নেই।

১০

জিম লেকার: ১৯৫৬ সাল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে মুখোমুখি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহ্যের সেই টেস্টে দু'টো ইনিংস মিলিয়ে ১৯টি উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অফ স্পিনার জিম লেকার। এরমধ্যে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ১০ ব্যাটারই তাঁর শিকার। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনিল কুম্বলে এবং ২০২১ সালে ভারতের বিরুদ্ধে কিউয়ি বোলার এজাজ প্যাটেল একটি ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু দু'টো ইনিংস মিলিয়ে ১৯ উইকেট তুলতে পারেননি। তাঁর কাছাকাছি গিয়েছিলেন বব ম্যাসি, নরেন্দ্র হিরওয়ানি ও মুথাইয়া মুরলীধরন। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁরা সংগ্রহ করেছিলেন ১৬ উইকেট।

১০

সিডনি বার্নস: টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম পুরনো রেকর্ড এটি। ১৯১৩-১৪ মরশুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে এই ইংরেজ পেসার চার টেস্টে পান ৪৯ উইকেট। গড় ১০.৬৩। এই কারণেই তাঁকে একসময় ডাকা হত 'বোলিংয়ের ব্র্যাডম্যান'।

১০

শচীন তেণ্ডুলকর: ২০০ টেস্ট খেলে তিনি অবসর নিয়েছেন। এটা একটা নজির। এতগুলো টেস্ট খেলা মুখের কথা নয়। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন অবশ্য লিটল মাস্টারের কাছাকাছি গিয়েছিলেন। ১৮৮ টেস্ট খেলে অবসর নেন তিনি। তাছাড়াও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল ফরম্যাট মিলিয়ে শচীনের রয়েছে সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি। এই রেকর্ড ভাঙাও কঠিন।

১০

ব্রায়ান লারা: ২০০৪ সালের এপ্রিলের সেই ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লারার ঝকঝকে ৪০০ তো কিংবদন্তির পর্যায়ে। এর প্রায় দশ বছর আগে ইংরেজদের বিরুদ্ধেই গ্যারি সোবার্সের অপরাজিত ৩৬৫ রানের রেকর্ড ভেঙে লারার ব্যাট থেকে এসেছিল ৩৭৫। ২০০৩ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অজি তারকা লারার সেই রেকর্ড ভেঙে ম্যাথু হেডেন করেন ৩৮০। কিন্তু তিনি লারা। এক বছর পরেই হেডেনের রেকর্ড ভেঙে ঐতিহাসিক অপরাজিত চারশো রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

১০

মুথাইয়া মুরলীধরন: ২০১০ সালের জুলাই। ততক্ষণে ক্রিকেটপ্রেমীরা জেনে গিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে গলে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে নামছেন শ্রীলঙ্কান অফস্পিনার। মুরলীর সামনে তখন ৮০০ উইকেট নেওয়ার হাতছানি। কিন্তু সেই নজির ছুঁতে গেলে তখনও ৮ উইকেট দরকার। ম্যাচটির প্রথম ইনিংসে ৫টি এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে ৮০০ উইকেটের মালিক হয়েই তিনি টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানান। এত বড় মাইলফলকের কাছিকাছি নেই আর কোনও বোলার।

১০

সঙ্গকারা-জয়বর্ধনে: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে এই দুই শ্রীলঙ্কান ব্যাটার ৬২৪ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ম্যাচটিতে জয়বর্ধনে থামেন ৩৭৪ রানে। সঙ্গকারা করেন ২৮৭ রান। এত বড় পার্টনারশিপ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিরল।

১০

অ্যালিস্টার কুক: ইংল্যান্ডের এই ক্রিকেটার খেলেছেন ১৬১টি টেস্ট। বিস্মিত হওয়ার মতো তথ্য হল, এরমধ্যে তিনি কোনও বিরতি না নিয়ে টানা খেলেছেন ১৫৯টি টেস্ট। কোনও চোট আঘাত তাঁকে কাবু করতে পারেনি। দল থেকে কখনও বাদও পড়তে হয়নি তাঁকে। এই রেকর্ডও ভাঙা প্রায় অসম্ভব।

১০ ১০

মার্ক বাউচার: দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটরক্ষকের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৫৫৫। সংখ্যাটি আসলে টেস্টে ডিসমিসালের। যা অর্জন করেছেন বাউচার। এরমধ্যে রয়েছে ৫৩২টি ক্যাচ, ২৩টি স্টাম্পিং। বিশ্ব ক্রিকেটে বহু নামজাদা উইকেটরক্ষক এলেও ডিসমিসালের ক্ষেত্রে এই সংখ্যার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি।