যৌনতার টোপ দিয়ে এক ইমারত ব্যবসায়ীকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ। ১০ মাস পর অবশেষে গুজরাট পুলিশের জালে ‘সুন্দরী’ সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম কৃতি প্যাটেল। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ। গত বছর জুন মাসে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সুরাটের একটি নিম্ন আদালত। তবে কিছুতেই কৃতির কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না।
কৃতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেম এবং যৌনতার ফাঁদে ফেলে সুরাটের এক ইমারত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা তোলা আদায় করেছেন। শুধু তাই নয়, কৃতি ছাড়াও এই চক্রে জড়িত ছিলেন আরও পাঁচ যুবক।
অবশেষে বুধবার আহমেদাবাদের সরখেজ এলাকা থেকে কৃতি-সহ চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে একজনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত দশ মাস ধরে অভিযুক্তরা বিভিন্ন শহরে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে ঘন ঘন তাঁরা মোবাইলের সিম কার্ডও বদলাচ্ছিলেন বলে খবর। তাই কিছুতেই তাঁদের খোঁজ মিলছিল না। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্রে খবর পয়ে বুধবার কৃতি-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশর দাবি, সমাজমাধ্যমে কৃতির সঙ্গে আলাপ হয় ওই ব্যবসায়ীর। ধীরে ধীরে সেখান থেকে ঘনিষ্ঠতা। এর কিছুদিন পরই ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন কৃতি। সমাজমাধ্যমে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দেন কৃতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভয় দেখিয়ে ২ কোটি টাকারও বেশি অর্থ কৃতি ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছিলেন। উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন যুবক। এরপরই কৃতির আর কোনও হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে খবর।
আহমেদাবাদের ডেপুটি পুলিশ কমিনশনার অলোক কুমার বলেন, “কৃতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল সুরাটের একটি নিম্ন আদালত। বাকি চারজনের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছিল এফআইআর। অবশেষে দশ মাস পর তাঁদের হদিস মিলল।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কৃতি এবং বাকিদের খুঁজতে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও সাহায্য করেছেন। কারণ, অভিযুক্তরা ক্রমাগত পুলিশকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে কৃতির বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগও উঠে এসেছে। শীঘ্রই তাঁকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.