Advertisement
Advertisement
Shefali Jariwala

উদাহরণ শেফালি, মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক আরও মারাত্মক! এই লক্ষণগুলি এড়াবেন না

রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৪০% মহিলা হৃদরোগের কারণে মারা যান।

১১

গত শুক্রবার, ২৭ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়েস হয়েছিল ৪২ বছর। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলাদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। ১৫-৪০ বছর বয়সি মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

১১

পুরুষদের মতো মহিলাদের বুকে তীব্র ব্যথা, বাম হাতে ব্যথা বা ঘাম হওয়ার মতো সাধারণ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা নাও যেতে পারে। বরং মহিলাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা, পিঠে ব্যথা বা চোয়ালে ব্যথার মতো অ্যাটিপিকাল লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায়।

১১

পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণত বড় রক্তনালীতে ব্লকেজ বেশি দেখা যায়, যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রায়শই হৃৎপিণ্ডের ছোট রক্তনালীগুলি আক্রান্ত হয়। একে 'মাইক্রোভাসকুলার ডিসফাংশন' বলা হয়, যা এনজিওগ্রাফিতে ধরা পড়ে না।

১১

ইস্ট্রোজেন হরমোন মহিলাদের হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করে। মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT) নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, প্রাকৃতিক ইস্ট্রোজেনের অভাব অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

১১

মহিলাদের মধ্যে স্ট্রেস এবং বিষণ্ণতার প্রভাব হৃদরোগের উপর অনেক বেশি। ক্রনিক স্ট্রেস এবং বিষণ্ণতা কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ।

১১

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-এক্লাম্পসিয়া এবং গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মহিলাদের পরবর্তী জীবনে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অটোইমিউন রোগ যেমন লুপাস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা। এগুলি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

১১

ডায়াবেটিস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি। ডায়াবেটিক মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের পর মৃত্যুর হার পুরুষদের তুলনায় বেশি।

১১

মহিলারা প্রায়শই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলি অবহেলা করেন। এর ফলে হাসপাতালে পৌঁছতে এবং সঠিক চিকিৎসা শুরু করতে বিলম্ব হয়। এই বিলম্বের কারণে হৃৎপিণ্ডের পেশীর ক্ষতি তুলনামূলক বেশি হয়।

১১

নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ এবং চিকিৎসাপদ্ধতির প্রতি মহিলাদের শরীর পুরুষদের থেকে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট এবং অ্যান্টিপ্লেটলেট ওষুধের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়ায় পার্থক্য দেখা গেছে।

১০ ১১

ধূমপান, স্থূলতা, এক্সারসাইজের অভাব এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ফ্যাক্টরগুলি হৃদরোগের ঝুঁকিকে আরও বেশি বাড়িয়ে তোলে।

১১ ১১

অ্যাটিপিকাল লক্ষণ, ছোট রক্তনালীর রোগ এবং কিছু পরীক্ষার (যেমন ইসিজি, এনজিওগ্রাম) সীমাবদ্ধতার কারণে মহিলাদের হৃদরোগ নির্ণয় অনেক সময় কঠিন হয়ে ওঠে। অনেক সময়ই নীরবে হার্ট অ্যাটাক হয়, যা বুঝে ওঠার আগেই প্রাণ চলে যায়। এই কারণগুলির জন্য মহিলাদের হৃদরোগের প্রতি বিশেষ মনোযোগ এবং ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন।