হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দু'বার আম্পায়ারদের উপর রেগে আগুন শুভমান গিল। প্রথমে রান আউট হওয়ার সময় বিপক্ষ উইকেটকিপারের গ্লাভস না বল, কোনটা উইকেট ছুঁয়েছিল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন। টিভি আম্পায়ার মাইকেল গফের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গিল। পরে সানরাইজার্সের অভিষেক শর্মার আউট না দেওয়ায় বাউন্ডারি লাইন থেকে দৌড়ে এসে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন।
গত বছর আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। ফুল টসে আউট হওয়ার পর কোহলি রিভিউ নেন। তাঁর মনে হয়েছিল বলটি কোমরের উপর। ফলে নো বল হওয়া উচিত। সেটা না হওয়ায় তর্ক জুড়ে দেন আরসিবি তারকা। শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফি'র পঞ্চাশ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।
ধোনি এমনিতে শান্তই থাকেন মাঠে। কিন্তু ২০১৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে রেগে আগুন হয়েছিলেন ধোনি। নো বল বিতর্কে মাঠে ঢুকে আম্পায়ারদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। 'ক্যাপ্টেন কুল'কে মেজাজ হারাতে দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ম্যাচ ফি'র পঞ্চাশ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছিল।
তখন ঋষভ পন্থ ছিলেন দিল্লিতে। ২০২২-এ রাজস্থানের বিরুদ্ধে একটি নো বল নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এমনকী মাঠের বাইরে থেকে রিভিউ নিতে চান। তাতে আম্পায়াররা রাজি না হওয়ায় ব্যাটারদের মাঠ ছেড়ে চলে আসতে বলেন। যে কারণে পন্থের জরিমানা হয়।
গত বছর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ম্যাচে আম্পায়ারদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাউন্ডারি লাইনে তাঁর ক্যাচ ধরেন বিপক্ষের প্লেয়ার। সঞ্জুর মনে হয়েছিল, সেটা ক্যাচ নয়। তাই নিয়ে বচসায় জড়ান তিনি। পরে তাঁর ম্যাচ ফি'র ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।
ফের তালিকায় বিরাট কোহলি। ২০১৫ সালে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে আম্পায়ার কেন যথা সময়ে ম্যাচ থামালেন না, সেই নিয়েই বিতর্ক বাঁধে। আরেক আম্পায়ার অনিল চৌধুরীও কোহলিকে শান্ত করতে পারেননি।
২০২২-এ আরসিবি'র বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল লখনউয়ের। সেখানে লখনউ ইনিংসের সময় একটি বল ওয়াইড দেওয়া হয়নি। পরের বলেই আউট হন স্টয়নিস। তাতেই প্রচণ্ড রেগে যান লখনউয়ের ব্যাটার। আম্পায়ারদের সঙ্গে ঝামেলা জুড়ে দেন তিনি।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.