Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

টেলি সম্মানে সেরা সঞ্চালক সৌরভ, বিশিষ্ট শিল্পীদের সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন রাজ্য সরকারের তৈরি বারুইপুরে ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি’র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বাংলার টেলি—শিল্প শুধু মানুষের বিনোদনই করে না, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনীতির একটা বড় অংশ। বহু মানুষের কর্মসংস্থান। এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সব ধরনের পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে রাজ্য সরকার।

বৃহস্পতিবার টেলি অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে টলিউডের শিল্পী, কলা—কুশলীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রি বড় ইন্ডাস্ট্রি। অনেকটা অর্থনীতি নির্ভর করে এর উপর। এখানকার ছেলেমেয়েরা খুবই ট্যালেন্ডেড। এই শিল্প যাতে আরও এগিয়ে যেতে পারে, তার জন্য অনেক কিছুই করা হচ্ছে। কোনও প্রয়োজন পড়লেই নিজের ঘরের একজন হিসাবে বলবেন।”

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকেই রাজ্য সরকারের তৈরি বারুইপুরে ‘পশ্চিমবঙ্গ টেলি অ্যাকাডেমি’—র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “এটা আপনাদের বড় প্রাপ্য। কামালগাজি থেকে বারুইপুর পদ্মপুকুর পৌঁছতে মাত্র দশ মিনিট সময় লাগবে। ফ্লাইওভারও করে দেওয়া হয়েছে। এই টেলি অ্যাকাডেমি আগামী দিনে সবার গন্তব্য হবে।” সম্মান জানানো হল অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তীকে।

শুধু টেলি অ্যাকাডেমিই নয়, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাস দেড়েকের মধ্যে ধনধান্যে স্টেডিয়াম তৈরি হয়ে যাবে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার আসন থাকছে। মুখ্যমন্ত্রী স্টেডিয়ামটিকে শঙ্খের আদলে রূপ দিয়েছেন। এছাড়াও মিলনমেলার কাজও শেষের মুখে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে মিলন মেলা প্রাঙ্গণের নতুন রূপ দেওয়ার কাজ শেষ হবে। সম্মান পেলেন ইন্দ্রাণী হালদার।

এছাড়াও ইকো ট্যুরিজম পার্ক—সহ বিভিন্ন জায়গা করা হয়েছে, যেখানে শুটিং করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “কোভিডের সময় মানুষ যখন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ ছিল তখন তার একমাত্র সঙ্গীই ছিল টেলিভিশন। তাই মানুষের দেওয়া টিআরপি—ই সব থেকে বড়।” তিনি নিজে যে টেলি সিরিয়াল দেখেন, তাও এদিন সহাস্যে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “আমি নিজেও ধারাবাহিক দেখি কিন্তু। রাতের দিকে যখন সময় পাই তখন দেখি।”

এদিন শিল্পী, কলা—কুশলীদের বিভিন্ন পুরস্কারে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। নন ফিকশন ক্ষেত্রে সেরা সঞ্চালক হিসাবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘পাদপ্রদীপের আলোয়’ সম্মান দেওয়া হয় শান্তিগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। মরণোত্তর কৃতী সম্মান প্রদান করা হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর কন্যা পৌলমী বসু তা গ্রহণ করেন।

জীবনকৃতী সম্মান পান শকুন্তলা বড়ুয়া। ক্যানসার যুদ্ধে জয়ী হওয়ায় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মাকেও সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, রাজ চক্রবর্তী, বাবুল সুপ্রিয়—সহ বিশিষ্টরা।