২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল আইপিএল। দেখতে দেখতে কোটি টাকার টুর্নামেন্টের ১৫টি মরশুম হয়ে গেল। এ ১৫ বছরে ক্রিকেট মানচিত্রে অনন্য জায়গা করে নিয়েছে আইপিএল।
দেড় দশক বয়সি টুর্নামেন্টে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কারের তালিকা ঘোষণা করল সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টস। এই তালিকায় দাপট মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, কেকেআর এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের।
স্টার স্পোর্টসের বিচারে আইপিএলের ইতিহাসে সেরা অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রোহিত শর্মা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৫ বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। যা অধিনায়ক হিসাবে সর্বোচ্চ। ধোনিকে উপেক্ষা করে তাই রোহিতকেই সেরা বেছেছে আইপিএলের সম্প্রচারকারী সংস্থা।
আইপিএলের ১৫ বছরের সেরা ব্যাটার নির্বাচিত হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রাক্তন ব্যাটার তথা বিশ্ব ক্রিকেটার মিস্টার ৩৬০ এবি ডি'ভিলিয়র্স। ১৮৪ ম্যাচে আইপিএলে তাঁর সংগ্রহ ৫১৬২ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫১.৬৯, গড় প্রায় ৪০। আরসিবি ছাড়াও একাধিক দলের হয়ে খেলেছেন তিনি।
আইপিএলের এযাবৎকালের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ২০১৩ থেকে মুম্বইয়ের হয়ে খেলছেন বুমরাহ। এখনও পর্যন্ত ১৪৫টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। মালিঙ্গা, সুনীল নারিনদের উপেক্ষা করে বুমরাহকেই সেরা বোলার বেছেছে স্টার স্পোর্টস।
সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকা নির্বাচিত হয়েছেন কেকেআরের আন্দ্রে রাসেল। তিনি ব্যাট এবং বল দুই বিভাগেই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখেন। রাসেলের কাঁধে ভর করে বহু ম্যাচ জিতেছে নাইটরা।
এক মরশুমে সেরা ব্যাটিং পারফরম্যান্স: বিরাট কোহলি। ২০১৬ মরশুমে বিরাট ৯৭৩ রান করেন। হাঁকিয়েছিলেন ৪টি সেঞ্চুরি। বিরাটের সেই পারফরম্যান্স এক ব্যাটারের সেরা মরশুম হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এক মরশুমে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স: ২০১২ মরশুমে বল হাতে রীতিমতো ম্যাজিক দেখিয়েছেন সুনীল নারিন। সেই মরশুমে নারিন ২৪টি ইউকেট পান। তাঁর ইকনোমি ছিল মাত্র ৫.৫।
মজার কথা হল, আইপিএলের অন্যতম সেরা এবং সফল দল হওয়া সত্ত্বেও চেন্নাই সুপার কিংসের কোনও তারকা আইপিএলের সেরাদের তালিকায় ঠাঁই পাননি। জায়গা পাননি মহেন্দ্র সিং ধোনিও।
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.