সোমবার শুরু হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ট্রায়াল রান। সকাল ৬টায় হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে যাত্রা শুরু হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।
১ঘণ্টা ১০ মিনিটে বর্ধমান পৌঁছয় ট্রেনটি। নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট আগে মালদহে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পৌঁছয় সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে। ২ মিনিট রামপুরহাট স্টেশনেও দাঁড়ায়। ট্রেন দেখতে স্টেশনে ভিড় জমে যায়। সেলফি তোলার হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ছবি: সুশান্ত পাল।
বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বারসোইয়ে পৌঁছয় অত্যন্ত দ্রুত গতির ট্রেনটি। পরীক্ষামূলক কাজের জন্য সাত মিনিট দাঁড়ায় সেখানে।
কোনও বাধাবিপত্তি ছাড়াই দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। দুপুর ৩টে ০৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ছবি: সুশান্ত পাল।
১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলে ট্রেন। চালক ছিলেন জি সি সাহা এবং অনিল কুমার। গার্ড এস গঙ্গোপাধ্যায়। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (অপারেশন) কাঞ্চন রায় জানান, ট্রেনটির ব্রেক এবং পিক আপ খুবই ভাল।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধন করবেন।
বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। তবে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেনের গতি কতটা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বিশ্বমানের ট্রেনগুলিকে টক্কর দিতে তৈরি বন্দে ভারত। ট্রেনটি পুরোটাই হবে এসি চেয়ার কার। প্রতিটি আসন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে পারবে অর্থাৎ কোচে থাকবে রিভলবিং চেয়ার।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের অন্দরেই।
ট্রেনটি চালু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাতায়াতে সুবিধা বাড়বে। সুবিধা পাবেন পর্যটকরা।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.