Advertisement
Advertisement
CAB

সিএবি মহিলা ক্লাব টুর্নামেন্ট ঘিরে স্বার্থের সংঘাত! শুরু বিতর্ক

বিতর্কে মুখ খুলে কী জানাচ্ছে সিএবি?

Allegations of conflict of interest surrounding the CAB women's club tournament

ফাইল চিত্র

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:April 7, 2024 10:10 am
  • Updated:April 7, 2024 10:10 am

স্টাফ রিপোর্টার: সিএবি আয়োজিত মহিলা ক্লাব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন জড়িয়ে গেল। জড়িয়ে গেল চারজন কোচকে ঘিরে। দশটি ক্লাবকে নিয়ে চলতি বছর থেকেই মহিলা ক্লাব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে সিএবি। যে উদ‌্যোগ প্রশংসনীয়। দিনকয়েক আগে সেই দশ ক্লাবের অধিনায়ক ও কোচ নির্বাচনও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু গোলযোগ দেখা দিয়েছে, চার জন কোচকে নিয়ে। তাঁরা হলেন প্রবাল দত্ত, শিবসাগর সিং, চরণজিৎ সিং এবং জয়ন্ত ঘোষদস্তিদার। এঁরা প্রত্যেকেই বাংলা দলের সঙ্গেও জড়িত। বিভিন্ন পর্যায়ে কোচিং করান।

প্রবাল দত্ত সিনিয়র মহিলা বাংলা টিমের কোচ। শিবসাগর অনূর্ধ্ব ২৩ মহিলা বাংলা টিমের দায়িত্বে। অনূর্ধ্ব ১৯ টিম দেখেন চরণজিৎ সিং। এবং অনূর্ধ্ব ১৫ টিমের কোচিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন জয়ন্ত ঘোষদস্তিদার। ময়দানে বলাবলি শুরু হয়েছে, যাঁরা বাংলা টিমের সঙ্গে জড়িত, তাঁরা কী করে আবার ক্লাব ক্রিকেটেও কোচিং করাতে পারেন? এটা তো পরিষ্কার স্বার্থের সংঘাত।

Advertisement

না, প্রবাল দত্ত, শিবসাগর সিং, কিংবা চরণজিৎ সিং বা জয়ন্ত ঘোষদস্তিদারদের কোনও দোষ নেই। তাঁরা পাকেচক্রে জড়িয়ে পড়েছেন। কারণ, দশ ক্লাবের কোচ নির্বাচন সিএবিই করেছে। তা তারা ঘোষণাও করেছে। সিএবি (CAB) যুগ্ম সচিব নরেশ ওঝাকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘‘আমরা এতটা তলিয়ে ভাবিনি। স্বার্থের সংঘাত যে হতে পারে, আমাদের মাথায় সত‌্যিই ছিল না। আমরা যা করেছি, বাংলা ক্রিকেটের স্বার্থে। বাংলা ক্রিকেটের উন্নতির কথা ভেবে। এটা নিয়ে কথা বলব প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। কিন্তু সত‌্যি যদি এটা বড় বিতর্ক হয়, বদলে দেব চারজন কোচকে। কিন্তু বাংলা ক্রিকেটের উন্নতি তাতে হবে কী?’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাঙালি প্রধানমন্ত্রী পেত দেশ! কেন কুরসি অধরাই থেকে যায় প্রণবের?]

ঠিক আছে, মানা গেল। কিন্তু ঘটনা হল, এর ফলে অনেক সমস‌্যাও তো বেড়ে যেতে পারে। ময়দানে বলাবলি চলছে, বাংলা মহিলা দলের কোচেরা যদি ক্লাব ক্রিকেটে কোচিং করাতে পারেন, তা হলে রনজি টিমের কোচরাও বা পারবেন না কেন? ভারতীয় ফুটবল টিমের কোচ ইগর স্টিমাচ যদি এখন ভারতের পাশাপাশি ভারতীয় ক্লাবেরও কোচিং করাতে শুরু করেন, সেটা হয় নাকি? তা ছাড়া কোচরা কিছু করুন না করুন, দল নির্বাচনে প্রভাব খাটান বা না খাটান, পিছু-পিছু তো স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন চলে আসবে।

সিএবি-র ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ বললেন যে, স্বার্থের সংঘাতের ব‌্যাপারটা সত‌্যিই তাঁদের মাথায় আসেনি। তা ছাড়া বাংলায় সত‌্যি ভালো কোচও নেই। তাই এই চারজনকে রাখা হয়েছে। যাতে ক্লাব টিমগুলোর ভালো হয়। তাছাড়া যুক্তি দিয়ে বলা হল, বাংলা নির্বাচকদের এর মধ‌্যে রাখা হয়নি। তাঁরা কোনও ভাবে যুক্ত নন। দল নির্বাচন তো নির্বাচকরা করবেন। কোচ মতামত দিতে পারেন। কিন্তু তাঁর কথায় কি টিম হবে? আইনমাফিক যুক্তি আছে। কিন্তু বাস্তবে সেটা চলে তো?

[আরও পড়ুুন: ব্রাজিল সুন্দরীর সঙ্গে রাতভর পার্টিতে মত্ত আরিয়ান! শাহরুখপুত্রকে উড়ন্ত চুমু ‘ওগো বিদেশিনী’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ