Advertisement
Advertisement

আজ জয়ে ফিরতে মরিয়া কোহলি, কেদার আসায় স্বস্তিতে ভারত

প্রায় এক যুগ পর ওয়ানডে ম্যাচ হতে চলেছে ব্রেবোর্নে।

India to West Indies in 4th ODI in Mumbai
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 29, 2018 9:47 am
  • Updated:October 29, 2018 9:47 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণেতে পাঁচ স্পেশ্যালিস্ট বোলারের স্ট্র্যাটেজি ফেল করেছে। তাই সিরিজে সমতায় থেকে সোমবার চতুর্থ একদিনের ম্যাচে নামতে হচ্ছে বিরাট কোহলিদের।

বোলার বাড়িয়ে কাজ হয়নি। ফলে চাপ বেড়েছে ভারতীয় শিবিরের। এই সিরিজে প্রবল ফেভারিট দেখাচ্ছিল টিম ইন্ডিয়াকে। কিন্তু বিরাটের দল এগিয়ে থেকেও এখন ১-১ অবস্থায়। ব্রেবোর্নে এটা তাই মরণ-বাঁচন ম্যাচ। ভারত হারলে চাপ বাড়বে বিরাটদের উপর। জিতলে সিরিজ নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বিরাটের কাছে দলের ব্যালেন্সই এই মুহূর্তে সবথেকে বড় ব্যাপার। ব্যাটসম্যান বাড়াবেন নাকি পাঁচ বোলারে ফের মাঠে নামবেন, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আগের ম্যাচে ৪৩ রানে হেরেছে ভারত। তার আগে বিশাখাপত্তনমে ম্যাচ টাই হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে সেই বিশাখাপত্তনম থেকেই। সাই হোপ সেখানে সেঞ্চুরির পর পুণেতেও ৯৫ রান করেছেন। ২১ বছরের এই তরুণ চলতি সিরিজে দলের ব্যাটিংকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।

Advertisement

[মোহনবাগানে টুটু ঝড়, এবার লক্ষ্য আই লিগ]

একই কথা বলতে হচ্ছে বিরাটকে নিয়েও। তিন ম্যাচে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক হয়ে গিয়েছে তাঁর। সিসিআইতে প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়েই ব্যাট করতে নামবেন ভারত অধিনায়ক। ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের সামনে এখন শক্ত চ্যালেঞ্জ বিরাটই। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর কেদার যাদবের ফিরে আসা। তিনি দলে ফেরা মানে ব্যাটিংয়ের পাশে অফ স্পিনটাও করে দিতে পারবেন। অধিনায়ক বিরাট বলছেন, দলের ব্যালেন্সটা খুব প্রয়োজন। দরকারের সময় যেটা তিনি পাচ্ছেন না। মিডল অর্ডার একেবারে দাঁড়াচ্ছে না। পাশাপাশি এমএস ধোনির ব্যাটে রান না আসাটা দলের কাছে সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর এই চাপ থেকেই রবিবার দলের অপশনাল প্র‌্যাকটিসে নেটে শুধু ৪৫ মিনিট কাটিয়ে গেলেন না, আলাদা করে বসলেন ব্যাটিং কোচ বাঙ্গারের সঙ্গেও।

Advertisement

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে আর বাকি মাত্র ১৫টি ম্যাচ। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এখন প্রতিটি ম্যাচই যেন বিরাটদের কাছে স্টেজ রিহার্সাল। কিন্তু চার নম্বরে রায়ডু আগের দিন ২২ রান করে ফিরে যাওয়ার পর সমস্যাটা থেকেই যাচ্ছে। ঋষভ পন্থকে ধোনির আগে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। ফলে কেদারের দিকেই তাকিয়ে বাকিরা। এদিকে জশপ্রীত বুমরাহ বিশ্রামের পর সফল প্রত্যাবর্তন করতে পারলেও ভুবনেশ্বর কুমার আগের দিন ডেথ ওভারে প্রচুর রান দিয়েছেন। ব্রেবোর্নে তাই চাহাল ও কুলদীপের উপর ভরসা করতে হবে ভারতকে।

সাই হোপ ক্রমশ যেন আশা দেখিয়ে চলেছেন ক্যারিবিয়ানদের। তাঁর সঙ্গে দলের ব্যাটিংকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন হেটমারও। এছাড়া কেরন পাওয়েল, চন্দ্রপল হেমরাজ আর রভম্যান পাওয়েলও ভারতীয় বোলারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে। মার্লন স্যামুয়েলস সেভাবে রানের মধ্যে নেই। এটা যদি ক্যারিবিয়ানদের চিন্তার কারণ হয়, তাহলে বোলিং বিভাগ সেই চিন্তা অনেকটা কমিয়ে দিতে সক্ষম। পেসার ম্যাকয় আর অফ স্পিনার নার্স নজর কেড়েছেন। ব্রেবোর্নেও এঁরাই ভরসা। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন বাদে আবার ক্রিকেট ফিরছে ব্রেবোর্নে। শেষবার এখানে টেস্ট হয়েছে ২০০৯-এ। আর একদিনের ম্যাচ ২০০৬-এ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ