সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ভারতের নির্বাচন নিয়ে মাথা না ঘামানোর পরামর্শ দিলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। দুদিন আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেসের ষড়ষন্ত্রে শামিল হয়েই ভারতের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলেছেন ইমরান। বলেছেন, বিজেপি যদি ভারতের ক্ষমতায় আসে তাহলে দুদেশের শান্তি প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হবে। সমাধান হবে কাশ্মীর সমস্যারও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপি সম্পর্কে ভারতের নাগরিকদের মনে ভুল বার্তা দিতেই কংগ্রেসের পরামর্শে এই কথা বলেছেন ইমরান।
[আরও পড়ুন-আপৎকালীন তহবিল না পেয়ে বন্ধ জেট, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি কর্মীদের]
বৃহস্পতিবার তাঁর এই তত্ত্বকে সমর্থন জানিয়ে রাম মাধব বলেন, “খুব ভাল হয় যদি ভারতের নির্বাচন থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন ইমরান খান। এই দেশের মানুষরাই ঠিক করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। এই বিষয়ে আমরা যথেষ্ট জ্ঞানী। এর জন্য সীমান্তের ওপার থেকে পরামর্শদাতার দরকার নেই আমাদের। যখন আমরা (বিজেপি) ফের ক্ষমতায় ফিরব তখন প্রতিবেশীদের সঙ্গে কীভাবে ব্যবহার করব তা ঠিক করা হবে।”
[আরও পড়ুন-‘আমি তো আছি’, সৌদিতে আটকে থাকা ভারতীয়কে টুইটারে আশ্বাস সুষমার]
তাঁকে প্রশ্ন করা দেশের সেনাবাহিনীর রাজনীতিকরণের যে মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে তা নিয়ে। রাম মাধব বলেন, “বিরোধীরাই নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য বালাকোটের সাফল্য ও আমাদের সেনার কৃতিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। তারা শুধু সরকার নয় সেনার দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।”
[আরও পড়ুন-ভোটের বাজারে বড় চমক, কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার মুকেশ আম্বানির]
বুধবার মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা আসন থেকে স্বাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরের নাম বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ওই আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। ২০০৮ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত স্বাধ্বী প্রজ্ঞাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবেই উল্লেখ করেন রাম মাধব। বলেন, “মধ্যপ্রদেশ বিজেপির পক্ষ থেকেই ওনার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। ইউপিএ সরকারের সময় দেশে গেরুয়া সন্ত্রাস নামক সন্দেহজনক ও ক্ষতিকর ধারণার জনক দিগ্বিজয় সিংয়ের বিরুদ্ধে স্বাধ্বী প্রজ্ঞা একমাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত। গেরুয়া সন্ত্রাস নামে কোনও বিষয়ের অস্তিত্ব না তখন ছিল, না এখন আছে। কিন্তু, এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অনেকের নামে মিথ্যে মামলা দায়ের হয়েছিল। অনেকে জেলও খেটেছেন। আদালতগুলো এই মামলাগুলি খতিয়ে দেখছে।”