Advertisement
Advertisement

Breaking News

ত্রিপুরা

সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভোট পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

প্রশ্নের মুখে বিপ্লব দেবের সরকার।

Polling in Tripura East Lok Sabha seat postponed to April 23
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 17, 2019 4:04 pm
  • Updated:April 17, 2019 4:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ১৪ মাস আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন সরকারের। কিন্তু এরই মধ্যে তলানিতে ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমনই অবস্থা যে বাধ্য হয়ে পূর্ব ত্রিপুরা আসনটিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হল কমিশন। পূর্ব ত্রিপুরা আসনটিতে ভোট হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় পর্বে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। কিন্তু, দ্বিতীয় পর্বের পরিবর্তে এই আসনটিতে ভোট হবে তৃতীয় পর্ব অর্থাৎ আগামী ২৩ মে।

[আরও পড়ুন: ‘প্রিয়াঙ্কা গান্ধী চোরের স্ত্রী’, বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে উমা ভারতী]

ত্রিপুরার রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে রাজ্যের যা আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তাতে সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক নির্বাচন সম্ভব নয়। ত্রিপুরা পূর্ব কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার আশঙ্কা করছেন, গোয়েন্দা দপ্তর যা জানিয়েছে তাতে, দুর্বৃত্তরা ভোট প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করতে পারে। তিনি অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও করেছেন। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরণিকান্তি জানাচ্ছেন, “আমরা সকলেই দেখেছি আগের পর্বে কী হয়েছে। আমি নিজে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছি। দেখেছি অনেক ভিডিও, যা হয়েছে তা নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করছে।” তিনি আরও বলেন, রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে জানিয়েছি। আশা করছি ২৩ তারিখের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলেও সূত্রের খবর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাওবাদীদের মদত দিচ্ছে কংগ্রেস, ছত্তিশগড়ের জনসভায় অভিযোগ মোদির]

এর আগে প্রথম দফার নির্বাচনেও লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে ৪৬০টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিল পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে। পূর্ব ত্রিপুরাতেও অশান্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধীরা। সেই আশঙ্কার কথা মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। এবং ভোট পিছিয়ে দেওয়া হল। পশ্চিম ত্রিপুরা নিয়েও কড়া রিপোর্ট জমা পড়েছে। ওই আসনটি নিয়ে অবশ্য এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি কমিশন। ওই কেন্দ্রেও পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ