Advertisement
Advertisement
China

লোহিত সাগরের ‘যুদ্ধে’ এবার চিন, ‘সংঘাত রুখতে’ই কি আসরে জিনপিং প্রশাসন?

লোহিত সাগরে অন্তত ২৬টি হামলা চালিয়েছে হাউথিরা।

China working to de-escalate tensions in Red Sea। Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 24, 2024 7:38 pm
  • Updated:January 24, 2024 9:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন দেশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে লোহিত সাগরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হাউথিরা। মিসাইল ছুড়ছে পণ্যবাহী জাহাজে। প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পথে। ইরানের মদতপুষ্ট এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণ শানাচ্ছে আমেরিকা ও ব্রিটেনও। যেকোনও সময় বাজতে পারে যুদ্ধের দামামা। এবার লোহিত সাগরের এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল চিন। উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনে সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করার আশ্বাস বেজিংয়ের।  

গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে লোহিত সাগরে অন্তত ২৬টি হামলা চালিয়েছে হাউথিরা। জাহাজগুলোর ক্ষতির পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে নিরীহ নাবিকদের জীবন। যে কারণে বহু বাণিজ্যতরী সুয়েজ খাল এড়িয়ে যাচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন, “লোহিত সাগরে জাহাজগুলোর হয়রানি ও আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছে চিন। ওই অঞ্চলে উত্তেজনা কম করার জন্য জড়িত সকল পক্ষের কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে। সকলের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে পদক্ষেপ করতে হবে। ওই অঞ্চলে যেন সংঘাতের আগুন জ্বলে না ওঠে। লোহিত সাগর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ। এই মুহূর্তে প্রয়োজন গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা। যাতে পরিবর্তীকালে এই অঞ্চলের পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়। লোহিত সাগরে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চিন সকলের সঙ্গে মিলে কাজ করতে ইচ্ছুক।”  

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৬৫ ইউক্রেনীয় বন্দিকে নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান! কারণ নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য]

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার কয়েকটি রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, লোহিত সাগরে হাউথিদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে নয়টি বাণিজ্যতরী নিজেদের চিনা জাহাজ বলে পরিচয় দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, নাবিকেরাও সকলে চিনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাস বনাম ইজরায়েল সংঘাতে প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের পক্ষে রয়েছে হাউথিরা (Houthi)। অন্যদিকে চিনও পাশে দাঁড়িয়েছে প্যালেস্তিনীয়দের। গাজায় অভিযান নিয়ে ইজরায়েলের নিন্দায় সরব হয়েছে বেজিং। পাশাপাশি হাউথিদের উপর ব্রিটেন ও আমেরিকার যৌথ বাহিনীর হামলার বিরোধিতাও করেছে। তাই মনে করা হচ্ছে, নিজেদের যদি চিনা জাহাজ হিসাবে দেখানো হয় তাহলে হয়তো হাউথিরা সেগুলোকে নিশানা করবে না। কারণ বেছে বেছে ইজরায়েলপন্থী দেশগুলোতেই মিসাইল ছুড়ছে জঙ্গিরা। তাই হামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, তাহলে কি হাউথিদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসতে পারে বেজিং?

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেন দখল করবে রাশিয়া’, কেন এমন বললেন বাইডেন?]

বলে রাখা ভালো, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকেই লোহিত সাগরে হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইরানের মদতপুষ্ট হাউথিরাদের তরফে জানানো হয়েছে গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে এই হামলা চালানো হচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। যতদিন না গাজায় ইজরায়েলি ফৌজ হামলা বন্ধ করছে ততদিন এই আক্রমণ চলবে। কয়েকদিন আগেই ভারতীয় বাণিজ্যতরীতেও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল হাউথিরা। ইয়েমেনের এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ লোহিত সাগরে হাউথিদের মিসাইল ও ড্রোন ধ্বংস করে দেয় দুই দেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ