Advertisement
Advertisement
ভারত চিন

যুদ্ধের দামামা! ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৫ চিনা সেনাও, পালটা দাবি বেজিংয়ের

সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে ভারত, হুঁশিয়ারি চিনের।

India slaughters 5 Chinese soldiers in bloody massacre

সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে ভারত, হুঁশিয়ারি চিনের।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 16, 2020 4:01 pm
  • Updated:June 16, 2020 4:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তবে কি যুদ্ধের দামামা বেজে গেল! লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে শুধু যে ভারতীয় সেনার তিন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন তাই নয়, সীমান্তের ওপারেও হয়েছে প্রাণহানি। এবং সেটা ভারতের থেকে অনেকটাই বেশি। বেজিংয়ের সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোমবার রাতে ভারত ও চিনা বাহিনীর ‘সংঘর্ষে’ তিনজন ভারতীয় জওয়ানের পাশাপাশি চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) পাঁচ জওয়ানও প্রাণ হারিয়েছেন। আরও অন্তত ১১ জন চিনা সেনা অসুস্থ।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুই দেশের সম্পর্কের গত কয়েক দশকের টানাপড়েনের মধ্যেও এত রক্তক্ষয়ী ‘সংঘর্ষ’ কখনও হয়নি। সূত্রের খবর, সোমবার রাতের সংঘর্ষে হাতাহাতির পাশাপাশি দুই দেশের সেনাই মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ভারতীয় সেনার তরফে আগেই জানানো হয়েছে, সোমবার রাতে দুই দেশের ‘সংঘর্ষে’ এক আধিকারিক-সহ তিন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এবার চিন দাবি করল, তাঁদের ৫ কম্যান্ডার শহিদ হয়েছেন। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যের এই উত্তেজনা বিশ্বশান্তির জন্য রীতিমতো অশনি-সংকেত দিচ্ছে। বেজিংয়ের তরফে সোমবারের সংঘর্ষ নিয়ে পরোক্ষে ভারতকে হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বলছে, চিনের সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল করবে ভারত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাদাখে চিনের ছোবল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং]

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিজিন টুইট করে বলেছেন,”যতদূর আমি জানি, গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে চিনের দিকেও প্রাণহানি হয়েছে। আমি ভারতকে বলতে চাই, এত আগ্রাসন ভাল নয়। চিনের সহনশীলতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করবেন না। চিন ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না, আবার যুদ্ধ করতে ভয়ও পায় না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাদাখে ফের ভারত-চিনের ‘সংঘর্ষ’, শহিদ এক আধিকারিক-সহ তিন সেনা জওয়ান]

উল্লেখ্য গত ৬ জুন দুই সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকের পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। সীমান্ত থেকে সেনাও সরানো শুরু করেছিল দুই দেশ। পূর্ব লাদাখে সীমা বিবাদ নিয়ে সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় না হেঁটে কূটনৈতিক তথা সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছিল বেজিং এবং নয়াদিল্লি। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, লাদাখে (Ladakh) সংঘর্ষের একাধিক কেন্দ্রবিন্দু থেকে ফৌজ সরিয়েও নিয়েছিল চিন। পালটা ভারতও কিছু সংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করে শান্তির বার্তা দিয়েছে। তবে গালওয়ান ও হট স্প্রিং এলাকায় সেনা মোতায়েন নিয়ে এখনও দু’দেশের মধ্যে বিবাদ মেটেনি। সোমবারের নতুন করে সংঘর্ষের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ