Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিউজিল‌্যান্ডের অগ্ন্যুৎপাতকে ‘চেরনোবিল’-এর সঙ্গে তুলনা চিকিৎসাকর্মীদের

বিষাক্ত ছাইয়ের চাদরে ঢাকা পড়েছে ঘটনাস্থল।

New Zealand volcano eruption compared with Chernobyl disaster
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 11, 2019 9:29 am
  • Updated:December 11, 2019 2:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ৩৩ বছর আগে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ, বর্তমান ইউক্রেনের চেরনোবিলে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত্যু ঘটে ৪২ জনের। ভয়াবহ তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপের ১৩টি দেশেও। ঘটনাস্থল যেন বিষাক্ত ছাইয়ের চাদরে ঢাকা পড়েছিল।

সেই স্মৃতিই যেন ফিরে এল নিউজিল‌্যান্ডে। তবে পরমাণু দুর্ঘটনা নয়, এবার ভয়াবহতার নেপথ্যে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত। দুর্ঘটনায় আহতদের সাহায‌্য করতে যাওয়া এক প‌্যারা চিকিৎসাকর্মীর কথায়, “ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।” সম্প্রতি টিভি-তে ‘চেরনোবিল’ নামে মিনি সিরিজ দেখেছেন তিনি। হোয়াইট আইল‌্যান্ডের দৃশ‌্য যেন তার সঙ্গেই তুলনীয়। “সবকিছুই যেন ছাইয়ের চাদরে ঢাকা পড়েছে! দেখলেই গা শিরশির করে উঠবে”, টেলিভিশন নিউজিল‌্যান্ডকে বলেছেন ওই কর্মী রাসেল ক্লার্ক। অকল‌্যান্ড ওয়েস্টপ‌্যাক রেসকিউ হেলিকপ্টার এমার্জেন্সি সার্ভিসে ইনটেনসিভ কেয়ার প‌্যারামেডিক হিসাবে কাজ করেন তিনি। জীবনে বহু দুর্ঘটনায় মদত করার জন‌্য ছুটে গিয়েছেন। অনেক মর্মান্তিক দৃশ‌্য দেখেছেন। কিন্তু হোয়াইট আইল‌্যান্ডের পরিস্থিতি তাঁকেও বিহ্বল করে দিয়েছে।

Advertisement

নিউজিল‌্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোয়াইট আইল‌্যান্ডের। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে যে স্থানের নাম সুবিদিত। যাকে স্থানীয় ভাষায় ‘হোয়াকারি’ও বলা হয়। বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি সেখানে আগ্নেয়গিরি সক্রিয় হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এই দ্বীপের আগ্নেয়গিরিকে নিউজিল‌্যান্ডের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসাবেও গণ‌্য করা হয়। আচমকা অগ্ন্যুৎপাত ঘটায় সেখানেই আটকে পড়েন পর্যটকরা। লাভার স্রোত ছিটকে আহতও হন অনেকে। আইল‌্যান্ডের পূর্ব উপকূলে হোয়াকাটান হল পর্যটকদের মূল ঘাঁটি। সেখানে পৌঁছে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর ও নৌকার উপর বহু আহত রোগী পান তাঁরা। দেখেন ব‌্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হেলিকপ্টারও।

Advertisement

ক্লার্ক জানিয়েছেন, দ্বীপে ঢুকে তাঁরা কোনও জীবিত মানুষকে খুঁজে পাননি। কেউ থাকলেও অত‌্যন্ত যন্ত্রণা পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। দ্বীপ থেকে গুরুতরভাবে পুড়ে যাওয়া ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ আরও আটজন। যাঁরা আর বেঁচে নেই বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। নিউজিল‌্যান্ড তো বটেই, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ব্রিটেন, চিন এবং মালয়েশিয়া থেকে পর্যটকরা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন।

[আরও পড়ুন: ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের হিন্দুরাষ্ট্রের এজেন্ডা’, CAB নিয়ে তোপ ইমরানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ