Advertisement
Advertisement

Breaking News

নারী-পুরুষ কিংবা শিয়া-সুন্নি, এই মসজিদে একসঙ্গে নমাজ পড়বেন সকলে

মহিলাদের হিজাবও পরতে হবে না। তাঁরা নিজেরাই ইমাম হতে পারবেন।

Now men-women, Shia-Sunni can pray together in Germany
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2017 5:09 am
  • Updated:June 17, 2017 7:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর আলাদা নয়। এবার থেকে নারী-পুরুষ, শিয়া-সুন্নি বিভেদ বাদ দিয়ে একসঙ্গেই প্রার্থনা করতে পারবেন সমস্ত ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ। এজন্য গত শুক্রবারই বার্লিনে তৈরি করা হয়েছে নতুন মসজিদ। এদিন সেখানে প্রার্থনাও করেন বহু মানুষ। মসজিদটি তৈরি করার নেপথ্যে রয়েছেন সেইরান এটস নামে ৫৪ বছর বয়সি এক মহিলা। গত আট বছর ধরে এই ধরনেরই একটি মসজিদ তৈরি করার স্বপ্ন দেখতেন সেইরেন, যেখানে নিজেদের মধ্যে কোনও বিভেদ থাকবে না, নারী-পুরুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, মহিলাদের কোনওরকম হিজাবও পরতে হবে না। এমনকী এই মসজিদে তাঁরা নিজেরা চাইলে ইমাম হতে পারবেন।

[শিলিগুড়িতে ভয়াবহ আগুন, ছড়াল তীব্র আতঙ্ক]

বার্লিনের মোয়াবিটে তৈরি হওয়া মসজিদের নাম রাখা হয়েছে ইবন-রুশদি-গোয়েথে মসজিদ। দার্শনিক ইবন রুশদি এবং জার্মান লেখক জোহান উলফগ্যাং গোয়েথের নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেইরান বলেন, ‘অবশেষে স্বপ্ন সফল হল। বহুদিন ধরেই এই কাজটি করার পরিকল্পনা করছিলাম। ইসলামের নামে এখন চারিদিকে হিংসা ছড়ানো হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী হামলা চলছে। যা আমরা কখনই চলতে দিতে পারি না। পাশাপাশি আমাদের মতো মুসলিম সমাজের উদারমনষ্ক ও আধুনিক মানুষদেরও উচিত সমাজের সামনে নিজেদের সুন্দর ভাবমূর্তি তুলে ধরা। আপাতত আগামী এক বছরের জন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছি আমরা।’ বর্তমানে মোয়াবিটের রেড ব্রিক লুথেরান চার্চের একটি ঘরে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। এখানেই শুক্রবার প্রার্থনা সারেন সবাই।

Advertisement

[ইন্দিরা আমলের ‘জরুরি’ ছোঁয়া নিয়ে ট্রেলারে হাজির ‘ইন্দু সরকার’]

জার্মানিতে বসবাসকারী মুসলিমের সংখ্যা এখন প্রায় ৪০ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই তুরস্কের বাসিন্দা। এছাড়া মধ্য এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকা থেকেও বহু মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ গত বেশ কয়েকদশক ধরে জার্মানিতে বসবাস করছেন। এছাড়া ২০১৫ সালের পর থেকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং ইরাক থেকে শরনার্থীরা সেদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি গত কয়েক বছরে বহুবার সন্ত্রাস হামলার শিকার হতে হয়েছে জার্মানিকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ঘটনার পিছনে রয়েছে ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। কিন্তু এক ধর্মের কয়েকজন খারাপ হলেও সবাই সেরকম হন না। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অন্যান্য ধর্মের ধারণা বদলানোর জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সেইরান। তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এই মসজিদে সবাই প্রবেশ করতে পারবেন। মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরতে হবে না, এমনকী তাঁরা ইমামও হতে পারবেন এবং অবশ্যই পুরুষদের মতো প্রার্থনা করতে পারবেন।’ এর পাশাপাশি তিনি জানান আগামিদিনে তাঁর নিজেরও ইমাম হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।

Advertisement

[ভারতীয়রা গো-মূত্র পান করে, ফাইনালের আগে আক্রমণ পাকিস্তানের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ