Advertisement
Advertisement

Breaking News

হালিশহর

হালিশহর পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবে স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের

‘প্রক্রিয়ার জালিয়াতি হয়েছে’, অনাস্থা প্রস্তাব প্রসঙ্গ মন্তব্য বিচারপতির৷

HC stays no-confidence motion at Halisahar municipality
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 19, 2019 4:24 pm
  • Updated:July 19, 2019 4:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হালিশহর পুরসভার অনাস্থা প্রস্তাব মামলায় ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷ ওইদিনই ফের মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়৷ সেদিন পরবর্তী নির্দেশ দেবেন বিচারপতি৷ অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে হালিশহর পুরসভায় কোনও আস্থা ভোট করা যাবে না৷

[ আরও পড়ুন: ‘নির্লজ্জের মতো কেন চেয়ার আঁকড়ে আছেন?’, শংকর আঢ্যকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির ]

Advertisement

এদিনের রায়দানের সময় অনাস্থা বৈঠক ডাকার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি৷ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকেই  কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন, ‘‘১৬ তারিখ প্রস্তাব দেওয়া হয়৷ ১৯ তারিখ বৈঠক ডাকা হয়৷ এটা প্রক্রিয়ার জালিয়াতি৷ হাই কোর্টের নির্দেশকে লঘু করে দেখা হচ্ছে৷ জালিয়াতি দেখে রাজ্য চুপ করে থাকতে পারে না৷ হালিশহর নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে রাজ্য৷’’ পাশাপাশি, হোয়াটয়অ্যাপের মাধ্যমে কীভাবে প্রস্তাব পাঠান যায়, সেই বিষয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি৷ একই ভাবে বনগাঁ পুরসভার আস্থা ভোটের মামলাতেও এদিন রাজ্য ও শাসকদলকে তুলোধোনা করেন বিচারপতি৷ বনগাঁর পুরপ্রধান শংকর আঢ্যকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘মানুষের সুবিধার জন্য আপনাকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷ জনসাধারণকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা যখন আপনার সঙ্গে নেই, তখন আপনাকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতেই হবে৷ ফল ভোগ করতেই হবে৷ এত নির্লজ্জ কেন আপনি? কেন চেয়ার আঁকড়ে পড়ে রয়েছেন?’’ এরপরই তিনি প্রস্তাব দেন, আবার আস্থা ভোট হোক বনগাঁ পুরসভায়৷ এসপির উপস্থিতিতে ডিএম বা এসডিও অফিসে হোক সভা৷ সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে দেখাক পুর চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য৷ আগামী সোমবার দুপুর ২টোয় আবার বনগাঁ মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাই কোর্টে৷

Advertisement

অন্যদিকে, প্রস্তাব মত এদিন দুপুর ৩টের সময় হালিশহরে অনাস্থা বৈঠক হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান অংশুমান রায়৷ তিনি বলেন, ‘‘মহামান্য আদালতের নির্দেশ শিরোধার্য৷ আদালত নির্দেশ দিয়েছে তাই হবে৷ তবে আমরা এখনও আদালতের অর্ডার হাতে পাইনি৷ তাই আজ তিনটের সময় হয়েছে বৈঠক৷ ১৩ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন৷ ধ্বনিভোটে তাঁরা অনাস্থার বিপক্ষে রায় দিয়েছেন৷’’ খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ‘‘আদালতকে ভুল পথে চালিত করা হয়েছে৷ আমরা স্পিড পোস্টের মাধ্যমে সবাইকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম৷ কিন্তু তাঁদের অনেকেই তা গ্রহণ করেননি৷ ২৩ তারিখ আমরা যা বলার আদালতে বলব৷’’ দুই পুরসভার মামলায় এদিন হাই কোর্টের বক্তব্য, স্বভাবতই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের৷ শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনকে একযোগে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি৷

[ আরও পড়ুন: লাভপুরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ