Advertisement
Advertisement

Breaking News

Purulia's farmers delivers watermelon to Kolkata

‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের সাফল্য! পুরুলিয়ায় চাষ হওয়া তরমুজেই রসনাতৃপ্তি কলকাতাবাসীর

তরমুজ রপ্তানিতে আয় হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

Purulia's farmers delivers watermelon to Kolkata । Sangbad Pratidin

ছবি: সুনীতা সিং

Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 22, 2022 2:21 pm
  • Updated:April 22, 2022 2:21 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: জঙ্গলমহলের তরমুজে (Watermelon) কলকাতা-সহ একাধিক জেলার রসনাতৃপ্তি। জন্নত জাতের তরমুজ ফলিয়ে ২ লক্ষ টাকা লক্ষ্মীলাভ উপভোক্তাদের। পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের মুকুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর, ডুমুরডিতে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে ৩০ বিঘা জমিতে প্রায় ১২টন তরমুজ ফলেছে। ওই তরমুজই গাড়ি করে রপ্তানি হল বীরভূমের সাঁইথিয়া, হুগলির আরামবাগ, মেদিনীপুরের খড়গপুর ও কলকাতায়। যা থেকে উপভোক্তার ঘরে ঢুকবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা।

Watermelon

Advertisement

পুরুলিয়ার (Purulia) এই ব্লকে ‘মাটির সৃষ্টি’-তে সবজি চাষ নজর কেড়েছে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তার মধ্যে রয়েছে এই মুকুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। ‘মাটির সৃষ্টি’তে আতমা প্রকল্পের অধীনে মিশ্র সবজি চাষ করছে ডিএসপি এগ্রিকালচারাল এন্ড এলাইড মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। ৩৫ জন উপভোক্তা মিলে এই সমবায় তৈরি করে চাষ করেছেন। তাঁরা উদ্যানপালন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যেমন কারিগরি পরামর্শ নিয়েছেন। তেমনই জয়পুর ব্লক তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করে গিয়েছে। জয়পুরের বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে মুকুন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর, ডুমুরডি গ্রামের তরমুজ সকলের চোখ টানছে। এখনও পর্যন্ত যে ১২টন তরমুজ ফলেছে সেখান থেকে প্রায় দু’লাখ টাকা মুনাফা হবে।”

Advertisement

Watermelon

[আরও পড়ুন: প্রেরণা ভুবন বাদ্যকর! উপার্জনের আশায় বাদাম চাষে মন পূর্ব মেদিনীপুরের চাষিদের]

ওই সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপপুরে ২০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তারা। সেখান থেকে তরমুজ হয়েছে ৯ টন। অন্যদিকে ডুমুরডির ১০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করে ফলেছে তিন টন। এদিনই ১২ টন তরমুজ সাঁইথিয়া, আরামবাগ, খড়গপুর, কলকাতায় তিন টন করে চারটে গাড়িতে যায়। ওই সমবায়ের উপভোক্তাদের মধ্যে ভোলানাথ মাহাতো বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারি মাসে এই তরমুজ লাগিয়েছিলাম। বিঘা প্রতি ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছিল। মোট খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। সাড়ে তিন লাখ টাকায় ১২টন তরমুজ বিক্রি করা হয়েছে। ফলে ২ লক্ষ টাকা আমাদের ঘরে এসেছে।” ওই জমিতে আরও তরমুজ ফলবে।

Watermelon

শিলিগুড়ি থেকে এই বীজ নিয়ে এসে চাষ করা হয়। উৎপাদিত তরমুজ কাটলেই একেবারে লাল টকটকে দেখা যাচ্ছে। তবে এই জন্য কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি তাদের। মার্চ থেকেই সেচে জোর দিয়েছেন তারা। প্রতাপপুর ও ডুমুরডিতে তরমুজ ছাড়াও তাদের আরও একাধিক সবজির চাষ চলছে।

Watermelon

[আরও পড়ুন: জৌলুস হারাচ্ছে দার্জিলিংয়ের কমলালেবুর বাগান, কীভাবে করবেন পরিচর্যা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ