Advertisement
Advertisement
Nadia

সেপটিক ট্যাঙ্কে ঢুকে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, মৃত নদিয়ার ৩ শ্রমিক

মৃত্যুর কারণ বিষাক্ত গ্যাস বলেই ধারণা।

3 Labour of Nadia died on tuesday | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 25, 2023 6:22 pm
  • Updated:April 25, 2023 6:22 pm

বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ঢুকে ছিলেন কাজে। সেটাই কাল। মৃত্যু হল ৩ শ্রমিকের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোকের ছায়া নদিয়ার ভীমপুরে।

জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর থানার নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা দীপক বিশ্বাস। তাঁর বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ঢালাইয়ের কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে সেই ট্যাঙ্কের তক্তা খোলার কাজ করছিলেন কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিক। প্রথনে একজন শ্রমিক ভিতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু বেশকিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও ভিতর থেকে থেকে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দ্বিতীয়জন প্রবেশ করেন ট্যাঙ্কে। তিনিও না ফেরায় তৃতীয়জন ঢোকেন ট্যাঙ্কে। পরপর তিনজন না ফেরায় সন্দেহ হয় অন্যান্য শ্রমিকদের। ডাকাডাকি শুরু করে তাঁরা। সাড়া না পেয়ে শ্রমিকরা চেঁচামেচি শুরু করে। তাঁদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়। তাঁরা প্রথমে সেপটিক ট্যাঙ্ক ভাঙার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দরকারে আমাকে মারো, গরিবদের না’, বীরভূম থেকে রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা ফিরহাদের]

খবর পেয়ে ভীমপুর থানার ওসি তমালতরু সরকারের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেসিপি দিয়ে ট্যাঙ্কটি ভেঙে ভিতর থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় শুভেন্দু দে (২৮), সুমন বিশ্বাস (৩০) এবং অমৃত বিশ্বাস (৩১) ওরফে কালু বিশ্বাস নামের ৩ শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ৩ শ্রমিককে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয়জনের বাড়ি ভীমপুর থানার পাকুড়গাছি কলোনি এলাকায়। তৃতীয়জন একই থানার দহরপোতা এলাকার বাসিন্দা। সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতরে থাকা বিষাক্তগ্যাসের কারণেই এই তিনশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

Advertisement

[আরও পড়ুন:এবার জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় বলাগড়ের নৌকাশিল্প, সুদিন ফেরার আশায় শিল্পীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ