Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় বৃদ্ধ ভাড়াটিয়াকে পথে বসাল বাড়িওয়ালা

আপাতত মেয়েকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে বৃদ্ধের।

Abandoned by son elderly man thrown out of rented room
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 18, 2019 7:43 pm
  • Updated:March 18, 2019 7:43 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া : বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় ঠাঁই মেলেনি ভাড়া বাড়িতে। বাধ্য হয়ে মেয়ের হাত ধরে খোলা আকাশের নীচে ঠাঁই নিয়েছেন বছর ৭০-এর বৃদ্ধ। নেই খাদ্যের সংস্থানও। স্থানীয়দের সহায়তায় কোনওরকমে মাঠে দিন কাটাচ্ছেন বাবা-মেয়ে।  

[তৃণমূল কার্যালয়ে বিজেপি নেতাকে ‘মারধর’, শীতলকুচিতে উত্তেজনা]

রবিবার সকাল থেকে কাটোয়া স্কুল মাঠে এক মহিলা ও  বৃদ্ধকে বসে থাকতে দেখা যায়। সাহায্যে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রাই। জানা যায়, আগে প্রচুর সম্পত্তির মালিক ছিলেন নবকুমার ঘোষ নামে ওই বৃদ্ধ। কাটোয়া শহর ছাড়াও একাধিক জায়গায় বাড়ি, সম্পত্তি ছিল তাঁর। অধিকাংশ সময় তাঁর কাটত শহরের বাইরেই। তবে, বিভিন্ন সমস্যায় একাধিক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। বড় মেয়ের বিয়ে ও স্ত্রীর মৃত্যুর পর শেষ সম্বল কাটোয়ার বাড়িটিও বিক্রি করে দিতে হয় নবকুমার বাবুকে। এরপর কর্মসূত্রে ছেলে চলে যান কলকাতায়। সেই থেকে ছোট মেয়েকে নিয়ে কাটোয়া পুর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন নবকুমার। জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকেই বরাবর টাকা পাঠাতেন বৃদ্ধের ছেলে। বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎই টাকা পাঠান  বন্ধ করে দেন বৃদ্ধের ছেলে। যার ফলে  দু’মাসের বিদ্যুতের বিল বাকি পড়ে যায় তাদের। এই নিয়ে দিন চারেক আগে বাড়ির মালিকের সঙ্গে বচসা বাঁধে। তাদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন মালিক। বাধ্য হয়ে ওই বাড়ি ছেড়ে অন্য একটি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তারা। অভিযোগ, দিন দু’য়েকের মাথায় ওই বাড়ির মালিকও তাদের ঘর ছেড়ে দিতে বলেন। এরপর বাধ্য হয়ে মেয়েকে নিয়ে রবিবার থেকে কাটোয়া কলেজ মাঠে বসে রয়েছেন নবকুমারবাবু। তাদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এলাকার বাসিন্দারাই।           

Advertisement

[বাঁকুড়ায় প্রচারে সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের]

এ প্রসঙ্গে  স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “ রবিবার সকাল থেকেই ওই বৃদ্ধ ও তার মেয়েকে একটি তক্তাপোষের ওপরে অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখছি। ওদের কাছে খাবার কেনার টাকাও নেই। আমরা কয়েকজন মিলে যেটুকু পারছি সাহায্য করছি। একটি ত্রিপলও কিনে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টি পড়লে খোলা জায়গায় থাকা যাবে না।” জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বৃদ্ধের ছেলে সুজিত ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্থানীয়রা। তিনি জানিয়েছেন, “ আমাকে ফোন করে স্থানীয়রা ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তবে, আমরাও খুব কষ্ট করেই থাকি। কলকাতায় বাবা ও বোনকে এনে রাখার মত উপায় নেই। কয়েকজনকে বলেছি ঘর দেখে দিতে। আমি পরে সব মিটিয়ে দেব।” 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ