Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপি ত্যাগের হিড়িক জঙ্গলমহলে

জঙ্গলমহলের গেরুয়া গড়ে বড় ভাঙন, একটি ব্লক থেকেই বিজেপি ছাড়লেন প্রায় ৫০০ জন

বিজেপির কথায়-কাজে বিস্তর ফারাক, বলছেন দলত্যাগীরা।

Almost 500 BJP workers leave the party in Jhargram
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 15, 2020 10:00 am
  • Updated:August 15, 2020 10:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক মাসের মধ্যেই গেরুয়া গড়ে বড়সড় ভাঙন। জঙ্গলমহলে একসঙ্গে অন্তত ৫০০ জন বিজেপি ছেড়ে দিলেন। সূত্রের খবর, একটি ব্লকের যুব থেকে শুরু করে মূল সংগঠনের বহু নেতা, কর্মী রয়েছেন দলত্যাগীর তালিকায়। সকলেরই বক্তব্য, বিজেপির (BJP) কথায় আর কাজে বহু ফারাক। তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই ছেড়ে দিয়েছেন।

উনিশের লোকসভা ভোটেরও আগে থেকে জঙ্গলমহলে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছিল শাসক শিবির। সেই ফাঁক গলেই বিজেপির উত্থান। একসময়ে তৃণমূলের হাত থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা কার্যত ছিনিয়ে নেয় গেরুয়া শিবির। বিপুল জনসমর্থনে গত লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে সবুজ একেবারে ফিকে হয়ে কার্যত গেরুয়াময় হয়ে ওঠে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া। প্রতিটি কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন বিজেপি প্রার্থীরা। এই অভাবনীয় ফলাফলের জেরে আত্মবিশ্বাস কয়েকগুণ বেড়ে যায় বঙ্গ বিজেপির। হাওয়া বুঝে দলবদল করে বহু রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ভিড়ে যান গেরুয়া শিবিরে। নতুন রাজনৈতিক পরিচয়ে শুরু করেন কাজ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুসলিম ব্যক্তির বাড়ির ভিত খুঁড়তে গিয়ে উদ্ধার শ্রীকৃষ্ণের প্রাচীন মূর্তি, এলাকায় শোরগোল]

কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই মোহভঙ্গ। দলে দলে বিজেপি ত্যাগের হিড়িক পড়েছে ঝাড়গ্রামে (Jhargram)। জানা গিয়েছে, একটি ব্লকের প্রায় সর্বস্তরের নেতা, কর্মীরাই দল ছেড়ে দিয়েছেন। দলত্যাগ করেছেন যুব নেতারাও। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা পাঁচশোর কম নয় বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তাঁরা সকলেই বলছেন, লোকসভা ভোটের আগে যে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি, বাস্তবে তা হচ্ছে না। তাই কিছুটা বীতশ্রদ্ধ হয়েই তাঁদের দলত্যাগের সিদ্ধান্ত। এই ঘটনায় যদিও তেমন বিব্রত নয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি দাবি, যারা দল ছেড়েছেন, তারা সকলেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই বিজেপিই তাদের বরখাস্ত করেছে। আগেও দলে কোনও দুর্নীতিগ্রস্তের জায়গায় ছিল না, পরেও থাকবে না, জোর গলায় এমনই জানাচ্ছেন জেলা বিজেপি সভাপতি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবিত, এসব ঘটনাই প্রমাণ করছে, গেরুয়া শিবিরের প্রকৃত পরিস্থিতি কী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: খুনের পর বন্ধুর মৃতদেহ ১২দিন লুকিয়ে রেখে অন্যকে হুমকি, সাইকো কিলারের কীর্তিতে হতভম্ব পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ