টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: শুধু বীরভূমে দলের জেলা সভাপতিই নন, পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটেও তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। এবার লোকসভা ভোটে তিনি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিশেষ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের এই দাপুটে নেতা বাঁকুড়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন। চতুর্থ দফায় গত সোমবার লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মিটেছে বীরভূমের দুটি কেন্দ্রে।আর তাঁর এক দিনের মধ্যেই মা-মাটি-মানুষের দল বিষ্ণুপুরে ভোট করাতে ভরসা রাখল অনুব্রতয়।
[আরও পড়ুন: সমাজের মানোন্নয়নের কথা ভেবে সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে প্রত্যয়ী ‘বনফুল’ ]
ষষ্ঠ দফায় আগামী ১২ মে লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র ভোট। তৃণমূল কংগ্রেসে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, আগামী দু’একদিনের মধ্যে বিষ্ণুপুরে ৬-৭টি জনসভা করবেন তিনি। নিজের জেলায় ভোটের ‘নকুলদানা’ দাওয়াইয়ের কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুব্রত। ভোটের দিনে তাঁকে নজরবন্দি করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। এমনকী, মোবাইল ফোনে কথা বলাতেও জারি ছিল নিষেধাজ্ঞা।
[আরও পড়ুন: মদন মিত্রের সভা ঘিরে অগ্নিগর্ভ ভাটপাড়া, চলল বোমাবাজি-ভাঙচুর]
গতবার লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। কয়েক মাস আগে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। লোকসভা ভোটের মুখে দলবদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুর থেকে বিদায়ী সাংসদকেই প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। একইদিনে বোলপুরের বিদায়ী সাংসদ অনুপম হাজরাকেও দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। তিনি এবার কলকাতা যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এদিকে আবার চতুর্থ দফার ভোটের দিনে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরার সাক্ষাৎকে ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি যে তৃণমূলে যাচ্ছেন না, একথাও সাফ জানিয়েছেন বিদায়ী সাংসদ অনুপম৷ বলেছিলেন, “সমঝোতা করার হলে আগেই করতে পারতাম।”