শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা, লাড্ডু খাওয়ানোর পাশাপাশি বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারের অভিযোগ উঠল নির্বাচনের কাজে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। ময়নাগুড়ি বার্নিশ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পু্ঁটিমারি মথুরামোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের আসা বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জওয়ানদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে জলপাইগুড়ির নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জলপাইগুড়ির জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক শিল্পা গৌরী সারিয়া জানান, ভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করাই তাঁদের লক্ষ্য। ১৮৬৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। বাকি বুথে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে। মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫৪টি বুথকে অতিস্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন।
যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, পুঁটিমারি মথুরা মোহন উচ্চবিদ্যালয়ে নিযুক্ত বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে এলাকায় বিজেপির হয়ে প্রচার করছিল। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। পুঁটিমারি স্কুলে নিযুক্ত বাহিনী যে বিজেপির হয়ে কাজ করেছে তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে বৈঠক, লাড্ডু বিতরণ এমনকী হাতে হাতে টাকা বিলি করতে দেখা গিয়েছে তাদের। খবর পাওয়ার পরই এলাকায় গিয়ে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেই কমিশনের কাছে বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
এই অভিযোগ পেয়েই তৎপর হয় জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচন দপ্তর। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে বাহিনীকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানো নিয়ে পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “ময়নাগুড়ি, পুঁটিমারি, বার্নিশ এলাকায় খারাপ ফল করবে তৃণমূল। নিজেদের হার নিশ্চিত বুঝে পঞ্চায়েত ভোটের মতো লোকসভা ভোটেও ছাপ্পা ভোটের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বাহিনী এসে পড়ায় সেই চেষ্টা ভেস্তে যেতে পারে এই ভয়েই তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.