স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে স্পর্শকাতর আসন ছিল মাত্র ৩০ শতাংশ। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোট মোটের উপর শান্তিপূর্ণ। দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন কিন্তু অতটা সহজ হবে না। রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের একথা স্মরণ করিয়ে দিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ভোট নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক বরদাস্ত করা হবে না বলে সোমবার রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের জানিয়ে দিল বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে আক্রান্ত কংগ্রেস নেতা, প্রতিবাদে রাতভর ধরনায় অধীর চৌধুরি]
সোমবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। খাতায় কলমে রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচনকে ‘শান্তিপূর্ণ’ আখ্যা দিলেও ভোটের দিন আগে তৎপর হলে ‘বিক্ষিপ্ত অশান্তি’ এড়ানো যেত বলে মনে করছে বেঞ্চ। দ্বিতীয় পর্বে তেমনটা হলে চলবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। সিইও দপ্তর ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন আইজি বিএসএফ, এডিজি আর্মড ফোর্স ও সমস্ত পর্যবেক্ষক।
সূত্রের খবর, ১৮ এপ্রিল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও রায়গঞ্জ আসনের নিরাপত্তায় আরও ৬০ কোম্পানি বাহিনী আসছে রাজ্যে। সব মিলিয়ে ১৯৪ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে দ্বিতীয় দফার নিরাপত্তায়। যার মধ্যে রয়েছে আধাসেনা ও ভিন রাজ্যের পুলিশ। এই তিন আসনের ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছে কমিশন। কারণ দ্বিতীয় দফায় শুধুমাত্র দার্জিলিং আসনেই রয়েছে ৮০ শতাংশ অতিস্পর্শকাতর বুথ। মূলত পাহাড়ের তিন বিধানসভা দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে মোট ৮৭৪টি বুথের মধ্যে ৬৭৪টি বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। সেকারণে এবার দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রেখে ভোট করার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। শুধু পাহাড়ের নিরাপত্তায় মোট ৫৫ কোম্পানি আধাসেনা ব্যবহার করা হবে বলে খবর। দার্জিলিং আসনের সমতলের বুথগুলির মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ স্পর্শকাতর। এছাড়াও রায়গঞ্জ ও জলপাইগুড়িতে ৪০ শতাংশ আসন স্পর্শকাতর।
[আরও পড়ুন: এপ্রিলের শেষে ফের বাংলায় প্রচারে ঝড় তুলতে আসছেন মোদি-শাহ]
এদিকে, রামনবমী নিয়ে বিশেষ কোনও মাথাব্যথা না থাকলেও অস্ত্রমিছিল নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কমিশন। গত দু’দিন ধরে রামনবমী পালন হয় রাজ্যজুড়ে। একাধিক জায়গায় প্রার্থীদেরও দেখা যায় অস্ত্র হাতে। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনও ধর্মীয় প্রচারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না প্রার্থী। তা সত্ত্বেও দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রার্থীদের অস্ত্র হাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেসব মিছিলে রাজনীতির কোনও যোগ রয়েছে কি না জানতে চেয়েছে কমিশন। এছাড়াও রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শো-কজ করল কমিশন। কমিশন সংক্রান্ত বক্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির জবাব তলব করা হয়েছে।