সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তারকা প্রার্থীদের প্রচারে নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। সাধারণত, তারকা বা হেভিওয়েট প্রার্থীদের সঙ্গে প্রচারের সময় প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। কমিশন মনে করছেন, এত সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে প্রার্থীরা পাড়ায় পাড়ায় বা অলিতে গলিতে প্রচার করলে ভোটারদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তাই, ভয়ের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তা নিশ্চিত করতে সব জায়গায় হেভিওয়েট বা তারকা প্রার্থীদের কনভয় নিয়ে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে কমিশন।
[আরও পড়ুন: এবার ভোটে প্রত্যন্ত এলাকায় কমিশনের মুশকিল আসান হ্যাম রেডিও অপারেটররা]
কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, তারকা বা হেভিওয়েট প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় বা ছোটখাটো অলি-গলিতে প্রচারের সময় ব্যবহার করতে পারবেন না কনভয়। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে যেতে হবে হাঁটিয়ে। যাতে কোনওভাবেই ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় বা ভোটাররা প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত। কমিশনের তরফে সমস্ত জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বিজেপির বিক্ষোভের জেরে কমিশন দপ্তরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের ৩ শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক। এই বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সিইও দপ্তরের সামনে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। তাছাড়া, এখন থেকে স্বারকলিপি জমা দিতে গেলেও লাগবে অনুমতি। প্রতিনিধি দলে কতজন যাচ্ছে তাও আগে থেকে জানাতে হবে কমিশনকে। এই নিয়ম আগে ছিল না।কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। এতদিন পর্যন্ত স্বারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার জন্য আগে থেকে প্রতিনিধিদলে সদস্যের সংখ্যা জানাতে হত না।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির ছবি নিয়ে রাম নবমীর মিছিল, বিতর্কে রাহুল সিনহা]
উল্লেখ্য, কোচবিহারের বেশ কিছু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার কমিশনের দপ্তরে রীতিমতো হট্টগোল বাধায় বিজেপি কর্মীরা। শিশির বাজোরিয়া, মুকুল রায়দের মতো নেতারা সিইও-র সামনে মেঝেতে বসে পড়েন। বিজেপি কর্মীরা কমিশনের দপ্তরের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভও করেন। তারপরই সিইও দপ্তরের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কমিশন।