Advertisement
Advertisement

Breaking News

শুভেন্দু

বালি ও কয়লা থেকে টাকা তোলা ব্যক্তিদের সুরক্ষা দেব না, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

দল কোনও দিন টাকা তুলতে বলেনি, মন্তব্য পরিবহণ মন্ত্রীর।

Who earn money from illegal sand & coal mining not protect by TMC.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:June 15, 2019 8:45 pm
  • Updated:June 15, 2019 8:45 pm

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: তৃণমূল কংগ্রসের নাম করে এতদিন যারা বালি, কয়লা ও বাড়ির টাকা নিয়েছে। তাদের সুরক্ষা দেব না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন বাঁকুড়া জেলার তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করার সময় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। রবীন্দ্র ভবনের কর্মিসভা থেকে বলেন, “দল কোনওদিন এই ভাবে টাকা সংগ্রহ করতে বলেনি। তাই আমরা তাদের কোনও ভাবে সাহায্য করব না। বাঁকুড়ায় এই মুহূর্তে দলের পরিস্থিতি খারাপ। কারণ, এতদিন এই জেলায় সাংগঠনিকভাবে কোনও কাজকর্মই হয়নি। উপর থেকে নির্দেশ দিলেও কর্মীদের কথা কেউ শোনেননি। তবে সাংগঠনিক শক্তির ওপর জোর দিতে হবে এখন থেকে।”

[আরও পড়ুন- ‘ক্ষমতালোভীরা চলে গেলে দলে শুদ্ধিকরণ হবে’, নদিয়ায় কড়া বার্তা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

এই জেলায় তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধির জন্য কিছু পরামর্শও দেন রাজ্যের জলসম্পদ ও পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী। প্রাক্তন জেলা, ব্লক ও অঞ্চল সভাপতি-সহ একাধিক নেতা এবং ভাল কর্মী যারা ঘরে বসে আছেন। তাঁদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, “সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই প্রাক্তন হয়ে গিয়েছেন। এবার তাঁদের কাছে যেতে হবে আমাদের। বিভিন্ন পদে বসিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” শনিবার তাঁর সামনেই সভায় উপস্থিত কর্মীদের একাংশ একাধিক বিধায়ক ও নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। কর্মীদের মুখে এসব অভিযোগ শুনে ক্ষিপ্ত হন শুভেন্দু। কড়া ভাষায় বলেন, “প্রমাণ ছাড়া কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। প্রমাণ ছাড়া যিনি অভিযোগ করবেন তাঁর বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব। আর দুর্নীতির প্রমাণ পেলে হয় তিনি দলে থাকবেন নয় আমি এই জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে সরব।”

Advertisement

[আরও পড়ুন- কোচবিহারে গেরুয়া সন্ত্রাসের অভিযোগে থানায় ধরনা তৃণমূল বিধায়কের]

বিভিন্ন নেতার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন পদে বসে কর্মীদের সঙ্গে অনেকে ‘রাজা’ সুলভ আচরণ করেছেন। ২০১১ সালের পর বিভিন্ন সরকারি পদে বসে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। তা মানুষের চোখে লেগেছে। আমাদের চলার পথে যদি ভুল হয়ে থাকে, আভ্যন্তরীণ সমস্যা থাকে তাহলে নেতৃত্বের পরিবর্তনটাই সমাধান নয়। নিজেদের ভুলত্রুটিকে সংশোধন করতে হবে সকলকেই। এখন আমাদের মাথা নত করে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যেতে হবে। আর মনে রাখতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ নেতা নয় আমরা সকলেই কর্মী। নেত্রী একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

কর্মিসভার পর ওন্দা বাজারে একটি জনসভা করেন শুভেন্দু। সেখান থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে সিপিএম ও বিজেপির কিছু লোক যৌথভাবে বাঁকুড়া এবং ওন্দাতে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে। অবিলম্বে তা বন্ধ করুক। হুমকি দিয়ে বা লাল চোখ দেখিয়ে আমাদের আগেও রোখা যায়নি। এখনও যাবে না। আমরা হার্মাদদের হটিয়েছি ও মাওবাদীদের তাড়িয়েছি। এই নব্য বিজেপিদের কীভাবে শিক্ষা দিয়ে শান্ত করে এলাকার বাইরে রেখে মূল স্রোতে ফেরাতে হয় তা আমরা জানি। সিপিএমের গ্রাম দখলের রাজনীতি বাঁকুড়ায় ফিরিয়ে আনতে দেব না।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২১ তারিখ থেকে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করছে তৃণমূল। ওই জনসংযোগ যাত্রা চলবে আগামী ২১ জুলাই পর্যন্ত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ