সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে চরম ঝুঁকি নিয়ে লড়ছেন দেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। বেশিরভাগ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী উপযুক্ত কিট বা স্যুট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। যেটুকু পাচ্ছেন তাতে করোনা ভাইরাস আটকানো যাচ্ছে না। এবার এই দুরবস্থা কাটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)। নৌবাহিনীর সাবমেরিনে কর্মরত সেনাদের জন্য বিশেষ পোশাক তৈরি করে ডিআরডিও। এবার সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য এই বিশেষ স্যুট বানাতে চলেছে তারা।
প্রযুক্তি সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে গেজেটসনাউ ডট কম নামে ওয়েবসাইট। ডিআরডিও-র সূত্রের খবর তুলে ধরে জানিয়েছে, এই বিশেষ ধরনের পোশাক বা বায়ো স্যুটটি বর্ষাতির মতো দেখতে ঠিকই কিন্তু বর্ষাতি নয়। তাতে থাকবে নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা। পোশাকের প্রতিটি পরত ও ভাঁজে থাকবে সিম সিলিং প্রতিরোধী সেলাই। পোশাকটি পরলে গরম লাগবে না। ঘাম হবে না। কিন্তু করোনা ভাইরাস ঢুকতে পারবে না। পোশাকটি বার বার স্যানিটাইজ করে, গরম জলে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে। সাবমেরিনে দিনের পর দিন কাটাতে হয় বহু সেনা ও কর্মীকে। তাঁদের এই ধরনের পোশাক পরে ডিউটি করতে হয় সমুদ্রের জলের তলায় সাবমেরিনের ভিতর। তাই এই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হবে করোনা প্রতিরোধক বায়ো স্যুটটি। এক বিবৃতিতে ডিআরডিও-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বায়ো সুটের সেলাইকে জল নিরোধী ও টেকসই করার জন্য সিম সিলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্য দরকার ছিল এমন একটা হালকা, শক্তিশালী আঠার যা কিছুতেই নষ্ট হবে না বা খুলবে না। এই আঠা তৈরির পর তা সুটের সেলাইকে সিল করা হয়েছে। পরে তা পরীক্ষা করা হয়েছে কোয়েম্বাটোরের গবেষণাগারে। সুটের মেটিরিয়াল ও আঠার গুণমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন তা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে।
[আরও পড়ুন : ‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে সাম্প্রদায়িক রূপ দেবেন না’, দলের নেতাদের হুঁশিয়ারি নাড্ডার]
ডিআরডিও জানিয়েছে, টেন্ডার ডেকে এরকম প্রচুর স্যুট বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চেন্নাইয়ের মেসার্স কুসুমগড় ইন্ডাস্ট্রিজকে। তারা দিনে ৭০০০টি করোনা প্রতিরোধক বায়ো স্যুট বানাতে পারে। এরকম আরও দুটি সংস্থাকে এই বায়ো স্যুট তৈরির দায়িত্ব দেবে ডিআরডিও। যাতে দিনে ১৫ হাজার সুট বানানো যায়। সাদার্ন ইন্ডিয়া টেক্সটাইলস রিসার্চস অ্যাসোসিয়েশন এই স্যুটটিকে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছে। খুব শীঘ্রই দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে এই করোনা প্রতিরোধী বায়ো স্যুট সরবরাহ করা হবে।