২০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মালচিং পদ্ধতিতে ধান চাষ, ব্যাপক অর্থলাভ বালুরঘাটের তিন যুবকের

Published by: Sayani Sen |    Posted: January 12, 2019 6:14 pm|    Updated: January 12, 2019 6:14 pm

Paddy cultivation in Balurghat

ছবি: প্রতীকী

রাজা দাস, বালুরঘাট: মালচিং পদ্ধতিতে ধানের চারা তৈরি করে কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখাচ্ছে বালুরঘাটের তিন যুবক। অল্প ব্যয়ে অতিরিক্ত চাষ করে ব্যাপক অর্থলাভ করছেন তাঁরা৷ এলাকার অর্থনীতির উন্নতির লক্ষ্যে যুবকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষি দপ্তর।

বালুরঘাটের তিন যুবক প্রদীপ স্বর্ণকার, লিটন বর্মন এবং বৈদ্য বর্মন স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছে বেকার যুবকদের। তাঁরা মালচিং পদ্ধতিতেই বালুরঘাটের ডুমইর, বোয়ালদার-সহ চারটি এলাকায় ধানের চারা তৈরির করছেন। নিজেদের কিছু জমি ছিল তাঁদের৷ কিন্তু তাতে চাষ করা সম্ভব ছিল না৷ তাই বাধ্য হয়ে কৃষকদের থেকে শর্তসাপেক্ষে কিছু পরিমাণ জমি নেন তাঁরা৷ অল্প জল ব্যবহার করে মালচিং পদ্ধতিতে ধানের চারা তৈরি করে চলছে চাষ।

[জল সংকট মেটাতে ফোয়ারা পদ্ধতিতে চাষের দাওয়াই কৃষি দপ্তরের]

মালচিং পদ্ধতিতে কীভাবে হচ্ছে চাষ? চিহ্নিত জমির উপর পাতলা প্লাস্টিক পেতে এক ইঞ্চি মাটি ফেলে সার মেশানো হচ্ছে। এবার ঝরনা বা ঝাড়ি দিয়ে জল দেওয়া হয়৷ মাটিগুলি কাদা কাদা করা হয়। এরপর অঙ্কুরিত ধানের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ওই মাটিতে। ধানের বীজ ভেজা থাকতে থাকতেই হালকা গোবর সার মেশানো মাটি উপরে ঢেলে দেওয়া হয়৷ সূর্যের আলো প্রবেশ করে এমন স্বচ্ছ বা হালকা প্লাস্টিক দিয়ে পুরো জমি মুড়ে ফেলা হয়৷ লক্ষ্য রাখা হয় যাতে ওই মাটিতে হাওয়া ঢুকতে না পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মাটির ভিতরে যেন জল না শুকিয়ে যায়। প্রয়োজনে মাঝে মাঝে জলও দেওয়া হয়৷ ২২ দিনের মাথায় জমি থেকে তুলে নেওয়া হয় প্লাস্টিক৷ তিনদিন পর দেখা যাবে ধানের চারা৷ প্রায় ৪ ইঞ্চি লম্বা ওই চারা যন্ত্রের সাহায্যে কৃষকদের জমিতে রোয়া বা বোনা হয়। এই চারাতে একদিকে যেমন বাড়বে ফলন আবার তেমনই কমবে চাষের খরচ।

[সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ, নয়া ভাবনায় উপকৃত বালুরঘাটের কৃষকরা]

মালচিং পদ্ধতিতে দিশা দেখানো যুবক প্রদীপ স্বর্ণকার বলেন, ‘‘কৃষি দপ্তর গত বছর থেকে মালচিং পদ্ধতিতে এইভাবে চারা গাছ তৈরি করা শুরু করে। তারা কৃষি দপ্তরের কাজে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই তারা মালচিং পদ্ধতিতে ধানের চারা তৈরি শিখেছেন।’’ বালুরঘাট কৃষি দপ্তরের অধিকর্তা পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিন যুবককে কৃষি দপ্তর থেকে যন্ত্রপাতি দিয়ে সাহায্য করা হয়। মালচিং পদ্ধতিতে ২৫ শতাংশ ফলন বেশি হবে। আবার চাষের খরচ অর্ধেক হয়ে যাবে। তাই এই পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের’’৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে