৯ চৈত্র  ১৪২৯  শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ‘মন কি বাত’, জল সংরক্ষণেই জোর মোদির

Published by: Soumya Mukherjee |    Posted: June 30, 2019 2:46 pm|    Updated: June 30, 2019 2:46 pm

As India faces Water Crisis, Modi Makes Three Requests to the Nation.

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন জায়গায় জলের জন্য হাহাকার করছে মানুষ। সেই দৃশ্য দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি অংশের বাসিন্দাদের মনেও। আগামীতে কী হবে তা নিয়েও মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন সবাই। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিও তাঁর ভাষণে এই বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর প্রথম ‘মন কি বাত‘-এ সেই বিষয়েই বেশি জোর দিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই পঞ্চায়েত প্রধানদের চিঠি লিখে জল সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আর রবিবার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের কাছে সরাসরি সেই আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন- দুর্নীতি রুখতে পদক্ষেপ, দ্রুত ‘এক দেশ এক রেশন কার্ড’ চালুর উদ্যোগ মোদি সরকারের]

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময়ে জলকষ্টে ভোগেন দেশের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ। কিন্তু, তারপরও বৃষ্টির জল ধরে রাখার বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নেন না। আপনারা জেনে অবাক হয়ে যাবেন যে সারা দেশে বছরে মাত্র আট শতাংশ বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু, এর পরিমাণ বাড়াতে পারলেই সমস্যা অনেক কমবে। এই বিষয়ে সমাজের বিশিষ্ট মানুষ-সহ সবার কাছে সচেতনা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করব। জল সংরক্ষণের প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা সবাইকে জানান। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সময় দেশের মানুষ সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসেছিলেন। জল সংরক্ষণেও সবাইকে অংশ নিতে হবে। জল নিয়ে কাজ করছে এরকম কোনও ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কথা জানা থাকলে প্রচার করতে হবে। সরকার এই বিষয়টি প্রচণ্ড গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলে জলশক্তি মন্ত্রক তৈরি করা হয়েছে। জল সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত হবে এখানে।”

২০১৪ সালে ক্ষমতার আসার কিছুদিন পরে জনতার কাছে সরাসরি নিজের কথা পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মোদি। এরপরই রেডিও-তে চালু হয়েছিল ‘মন কি বাত’। কিন্তু, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই স্থগিত রাখা হয়েছিল অনুষ্ঠানটি। ক্ষমতায় ফিরেই তাড়াতাড়ি তা চালু করতে চেয়েছিলেন মোদি। মে মাসের শেষ রবিবার অনুষ্ঠানটি ফের শুরু করবেন বলে ঘোষণাও করেছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেরি হয়ে গেল একমাস। রবিবার সেই কথা উল্লেখ করে মোদি বলেন, “এই সময়টা ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। অনুষ্ঠান নয় আমি আসলে আপনাদের অভাব অনুভব করছিলাম। তাই নির্বাচন হওয়ার পরেই অনুষ্ঠানটি ফের চালু করার কথা ভেবেছিলাম। পরে মনে হল, এর সঙ্গে রবিবারের একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু, সেই রবিবারটাই আর আসছিল না!”

[আরও পড়ুন- অপরাধ ফেজ টুপি পরা! রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার মুসলিম কিশোরকে]

এবারের নির্বাচন যে গোটা বিশ্বের কাছে উদাহরণ তৈরি করেছে রবিবারের অনুষ্ঠানে সেকথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “এবার ৬১ কোটি মানুষ তাঁদের পছন্দের কথা স্পষ্ট করেছেন। এটা বিশ্বের কাছে একটি নজির তৈরি করেছে। এই নির্বাচনে অরুণাচল প্রদেশে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা একজন মাত্র ভোটারের জন্যও বুথ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, দেশে যখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল তখন অন্য পরিস্থিতি ছিল। দেশজুড়ে ক্ষোভের আবহাওয়া তৈরি হয়েছিল।”

দিল্লির দ্বারকা থেকে দেশবাসীর সঙ্গে কথা বলার সময় ধ্যানগুহারও প্রসঙ্গ টেনে আনেন নরেন্দ্র মোদি। জানান, তিনি মনের শান্তির জন্য ওই গুহায় গিয়েছিলেন। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু, বিরোধীরা এর মধ্যেও রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলেন।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে