সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমেছে কংগ্রেসের সরকার থাকাকালীন। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এভাবেই সুর চড়াল বিজেপি (BJP)। তবে এই রিপোর্টকে ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির’ পরিসংখ্যান বলে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। রিপোর্ট নাকচ করার দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
নির্বাচনের মধ্যেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। সেখানে বলা হয়, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত দেশে ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দু জনতার সংখ্যা। ওই একই সময়ে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪.১৫ শতাংশ হয়েছে মুসলিমদের সংখ্যা। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশে যথেষ্ট উন্নতি করেছেন তাঁরা।
নির্বাচনী আবহে এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁদের মতে, এই ৬৫ বছরের অধিকাংশ সময়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল বলেই হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে। যদি আবারও দেশ চালানোর ভার কংগ্রেসকে দেওয়া হয় তাহলে হিন্দুদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে অন্যদের অধিকার কেড়ে নেবে কংগ্রেস (Congress)।
যদিও বিজেপির এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি সাফ জানান, “এটা হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটির রিপোর্ট।” আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, “২০২১-২২ সালে জনগণনার কথা ছিল, কিন্তু সেটা এখনও হয়নি। ঘৃণা ছড়ানোর জন্য এইসব রিপোর্ট ছড়িয়ে মানুষকে ঠকাচ্ছে বিজেপি। এটাই মোদির অ্যাজেন্ডা।” কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সাফ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের রিপোর্টকে সটান নাকচ করা উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.