Advertisement
Advertisement

Breaking News

আজম খান, জয়া প্রদা

জয়া প্রদার অন্তর্বাসের রং নিয়ে খোঁচা, আজম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

কী প্রতিক্রিয়া আজম খানের?

Case filed against Azam Khan over controversial speech on Jaya Prada
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 15, 2019 12:35 pm
  • Updated:April 17, 2019 3:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বিরোধী প্রার্থীকে আক্রমণ রাজনীতিকদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি৷ উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আজম খানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ কিন্তু জয়াপ্রদা সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল মামলাও৷ সপা নেতা জানিয়েছেন, তিনি যদি দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে ভোট লড়বেন না।

[ আরও পড়ুন: কী আছে মোদির হেলিকপ্টার থেকে নামা কালো বাক্সে? প্রশ্ন তুলে কমিশনে কংগ্রেস]

উত্তরপ্রদেশে এবার জোট বেঁধেছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজপার্টি। তাদের সঙ্গে রয়েছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল। ওই রাজ্যের রামপুরে সেই মহাজোটের প্রার্থী সমাজবাদী পার্টির আজম খান। তাঁর বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়াই করছেন জয়া প্রদা। গতবার  রামপুর থেকে সমাজবাদী পার্টির টিকিটে  সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। সম্প্রতি জয়াপ্রদা বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর বিজেপির তরফে তাঁর নাম রামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপরই সমাজবাদী পার্টি ও বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। সেই বাগযুদ্ধ জারি রাখতে গিয়েই এক জনসভায় আজম খান বলেন,  তিনি নাকি ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলেন জয়া প্রদার অন্তর্বাসের রং খাকি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: লং মার্চের আঁতুড়ঘরে ভোটে পুঁজি কৃষকের হাহাকারই]

স্বাভাবিকভাবেই আজম খানের এহেন বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে ভোটের আবহে সমালোচনার সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির৷ একজন মহিলাকে নিয়ে কীভাবে এমন অশ্লীল মন্তব্য করতে পারেন ওই বর্ষীয়ান নেতা৷ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি

Advertisement

জয়া প্রদা বলেন, ‘‘যিনি এত কুমন্তব্য করতে পারেন, তাঁর ভোটে দাঁড়ানোই অনুচিত৷ একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি ভোটে জয় পেলে গণতন্ত্র বলে কিছুই থাকবে না৷ নারী নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তা বাড়বে৷’’

আজম খানের মন্তব্য নিয়ে সমাজবাদী পার্টির কেউই একটি বাক্যও খরচ করেননি৷ সাফাই দিয়েছেন ওই সপা নেতা নিজেই৷ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আজম খান বলেন, ‘‘আমাকে দোষী প্রমাণ করতে পারলে ভোটেই লড়ব না। আমি কারও-র নাম নিইনি, কাউকে অপমানও করিনি। আমি রামপুরের ন’বারের বিধায়ক, মন্ত্রীও ছিলাম। আমি জানি কী বলতে হয়।’’ আজম খানের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে৷ এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে এহেন বিতর্কিত মন্তব্যের পালটা শুধুমাত্র বাক্যবাণ হতে পারে না৷ সপা নেতার কৃতকর্মের জন্য অখিলেশ ও মায়াবতীকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ