Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউন

বাড়ছে লকডাউন, জেনে নিন কোন কোন ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও কড়া নজরদারি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

Corona virus - In Lock down's third act, what's allowed, what Isn't
Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 1, 2020 7:39 pm
  • Updated:May 1, 2020 8:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ মে উঠছে না লকডাউন। আরও দু’সপ্তাহের জন্য এর মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ফলে আগামী ১৭ মে পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে। এই সময় বিশেষ অনুমতি ছাড়া বাস, ট্রেন, বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে স্কুল, কলেজ-সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তরাঁ, শপিং মল, সিনেমা হল, সাঁলো। রেডজোনে-সহ বিভিন্ন এলাকায় কিছু অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, লকডাউনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে কোভিড মোকাবিলায়। তাই লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পরই কিছু ছাড় দিয়ে লকডাউন বাড়ানো ইঙ্গিত মিলেছিল। তারপর পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্য লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে। এবার কেন্দ্রের তরফে আরও ১৪ দিন লকডাউন বাড়ানোর কথা জানানো হল। তবে সংক্রামিতের সংখ্যা ও নতুন সংক্রমণের আশঙ্কার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন জোনে বেশকিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে।আগামী ৪ মে থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকরি হবে। 

কেন্দ্রের তরফে করোনা সংক্রমণের ধরণ অনুযায়ী আগেই দেশকে কয়েকটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেড জোন ( সংক্রামিত প্রচুর), কনটেনমেন্ট জোন (রেড জোনের মধ্যে হাই রিস্ক এলাকা), অরেঞ্জ জোন (সংক্রমণ তুলনামূলক কম) ও গ্রিন জোন (গত ২১ দিনে কোনও সংক্রামিতের হদিশ নেই)। এবার সেই অরেঞ্জ ও গ্রিনজোনে অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ভিন্ন ভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও আরও শক্ত করা হল বজ্র আঁটুনি, কোথাও আবার ছাড় মিলল বেশকিছুটা। তবে গোটা দেশেই বন্ধ থাকছে যে কোনও ধরণের জমায়েত। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও কড়া নজরদারি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন : ভিনরাজ্যে আটকে থাকা নাগরিকদের ফেরাতে চলবে বিশেষ ট্রেন, জানাল কেন্দ্র]

রেড জোন ও কনটেনমেন্ট জোনে

  • বাস, ট্যাক্সি, অটো, রিক্সা-সহ বিভিন্ন গাড়ি বন্ধ থাকবে।
  • বন্ধ থাকবে আন্তঃরাজ্য পরিবহণ পরিষেবাও।
  • রেডজোনের গ্রামাঞ্চলে শিল্প, নির্মাণ ও চাষের কাজে ছাড় থাকবে। নিয়ম মেনে কর্মীরা আসবেন।
  • মনরেগা প্রকল্পের কাজ চলবে। চলবে ফুড প্রসেসিং ও ইটভাটাও।
  • ছাড় রয়েছে মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায়ও। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি ৩৩ শতাশ কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে কাজ চালাতে পারবে। বাকিদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।
  • এই এলাকার বাসিন্দাদের আরোগ্য  সেতু অ্যাপ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। 
  • কোনও জোনেই রাত সাতটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত অপ্রয়োজনীয় কাজে রাস্তায় বের হতে পারবেন না।
  • ওষুধের দোকানে ছাড় থাকছে। 
  • ই-কর্মাস ডেলিভারি বয়রা শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পণ্য সরাবরাহ করতে পারবে। 

[আরও পড়ুন : মোদির সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন, হিজবুলকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন বিজেপি নেতা]

  • অরেঞ্জ জোনে ট্যাক্সি বা ক্যাব চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাতে চালক ছাড়া একজন যাত্রী থাকতে পারে।
  • গ্রিনজোনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চলাচল করতে পারবে। ৫০ শতাংশ বাসের উপস্থিতিতে ডিপোও চালানো যেতে পারে।
  • এমনকী, গ্রিনজোনে মদ ও পান বিড়ির দোকানেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে বেশকিছু নিয়ম মানতে হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ