Advertisement
Advertisement

Breaking News

দলিত

দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজপুত, পঞ্চায়েতের চাপ উপেক্ষা করেই পুলিশের দ্বারস্থ পরিবার

পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার চাপ পঞ্চায়েত প্রধানের৷

Dalit minor has been allegedly raped by Rajput youth in Dehradun

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 2, 2019 3:05 pm
  • Updated:June 2, 2019 3:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিচারব্যবস্থায় প্রভাব ফেলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল উচ্চবর্ণের বিরুদ্ধে৷ দেরাদুনের এক দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় পরিবারকে অভিযোগ দায়েরে বাধা দিল অভিযুক্ত রাজপুত যুবক৷ এনিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তেহরির নয়নবাগ এলাকা৷

[আরও পড়ুন: মিমি-নুসরতের পোশাক নিয়ে খোঁচা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচিত সাংবাদিক]

ঘটনা শুক্রবারের৷ মিষ্টি খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছরে দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নীতীন সিং পাওয়ার নামে ২৮ বছরের এক রাজপুত যুবকের বিরুদ্ধে৷ স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে ফিরে গোটা ঘটনাটি জানায় অভিভাবকদের৷ এরপর তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্য৷ সেখান থেকে দুন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ সার্কল ইন্সপেক্টর উত্তম সিংয়ের কথায়, ‘ওইদিন সন্ধেবেলাই নাবালিকার অভিভাবক আমাদের কাছে এসে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলেন৷ একইসঙ্গে তার মা অভিযোগ করেন, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তাদের ধর্ষণের বিষয়টি পুলিশকে না জানানোর জন্য বারবার চাপ দিচ্ছে৷’

Advertisement

ধর্ষিতা নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ‘রাজপুত ছেলেটির বিরুদ্ধে পুলিশে যাতে অভিযোগ দায়ের না করি, তার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আমাদের উপর চাপ তৈরি করছিল৷ এভাবে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়ে যায়৷ মেয়েটা আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে৷ শেষমেশ ওকে নিয়ে পুলিশে যাই৷ সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷’ স্থানীয় প্রশাসনের চাপের মুখে অবশ্য মাথা নোয়ায়নি দলিত পরিবারটি৷ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে৷ পকসো আইনে অভিযোগের পাশাপাশি ধর্ষণ এবং নিচুবর্ণের প্রতি অন্যায়ের কথা বিবেচনা করে সেই ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে অভিযুক্ত নীতীন সিং পাওয়ারের বিরুদ্ধে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, প্রথম দিনেই ‘মিশন কাশ্মীর’ অমিত শাহর]

এর আগেও তেহরি এলাকায় এধরনের ঘটনার নিদর্শন আছে৷ এক তরুণীকে গণধর্ষণ এবং খুনের মতো মারাত্মক অভিযোগ ওঠে উচ্চবর্ণের ৬ জনের বিরুদ্ধে৷ সেবারও ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি হয়৷ আর ভয় পেয়ে পরিবারও আর পুলিশের কাছে যায়নি৷ দেরাদুনের সমাজকর্মীদের একাংশ বলছে, শুধু ধর্ষণের মতো অপরাধই নয়, এখানে দলিত এবং নিচুবর্ণের মানুষজনের প্রতি নিয়মিত নানা ধরনের অন্যায় হয়ে থাকে৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতের চাপে তার অধিকাংশই পুলিশের নজরে আসে না৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ