১১ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

হাল ছেড়ো না বন্ধু…, ‘মন কি বাত’-এ যুব সম্প্রদায়কে প্রেরণা জোগালেন মোদি

Published by: Sucheta Chakrabarty |    Posted: February 23, 2020 3:07 pm|    Updated: February 23, 2020 3:07 pm

In Mann KI Baat Program Modi tried to Encourage Students

ফাইল ফটো

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে, দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরে….।’ ৬২তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের দৃঢ়চেতা করে তুলতে এমনই পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত মাসে ২৬ জানুয়ারি দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী আবেদন করেন, “দেশের স্বার্থে আমাদের এমন কিছু করতে হবে যা দেশকে গর্বিত করবে।” এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে ইসরোর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। স্কুল পড়ুয়াদের চন্দ্রযান-২ এর রকেট লঞ্চ অনুষ্ঠানকে দেখতে দেওয়ার সুবিধা করে দেওয়ার জন্য মোদির তারিফ কুড়োয় ইসরো।

নরেন্দ্র মোদি বলেন, ”চন্দ্রযানের উৎক্ষেপণের মতো অনুষ্ঠান দেখলে দেশের যুব সমাজ বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হবে।” ইসরোর শ্রীহরিকোটা থেকে মোদির সঙ্গে এই কর্মকাণ্ড চাক্ষুস করার সুযোগ পায় বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া। ইসরোর “যুবিকা প্রোগ্রাম”-এর লক্ষ্য হল, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে পড়ুয়াদের জ্ঞানের বিস্তার করা। বিজ্ঞান ও তার ব্যবহার হাতে কলমে ছাত্র-ছাত্রীরা জানলে সেই বিষয়ে আরও উৎসুক হবে বলে এদিন মোদি দাবি করেন। তিনি এই ধরনের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের আরও বেশি করে অংশগ্রহণ করারও আবেদন করেন। ২০১৯ সালে “যুবিকা প্রোগ্রাম” চালু করা হয়। ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ, জয় বিজ্ঞান’-এর মত ‘যুবিকা প্রোগ্রাম’ হল যুব বিজ্ঞান কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। স্কুলের পাঠ্যক্রম শেষ হলে পর ইচ্ছুক পড়ুয়ারা ইসরোর বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে এই প্রকল্পের অন্তর্গত মহাকাশ বিজ্ঞান, মহাকাশ প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করে হাতেকলমে তা শিখতে পারে। এমনকি প্রশিক্ষণ নিতে এই প্রকল্পের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের নাম রেজিস্টার করাতে পারে। চলতি বছরের মে মাস থেকে ইসরোর ‘যুবিকা প্রোগ্রাম’-এর দ্বিতীয় ভাগ চালু করা হবে। স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়লে ২ সপ্তাহের জন্য এই অনুষ্ঠানগুলি চলবে।

[আরও পড়ুন:‘মোগাম্বোকে খুশ করতে কোটি টাকা খরচ’, ট্রাম্পের সফরকে কটাক্ষ অধীরের]

পড়ুয়াদের সাহসী ও দৃঢ়চেতা করে তুলতে এদিন প্রধানমন্ত্রী দুটি গল্পও শোনান। সলমন ও ইসমাইলের গল্প। উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের ছেলে সলমন, যে নিজের শারীরিক অক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করে জীবনে এগিয়েছে। সাবান ও জুতো তৈরির কারখানা তৈরি করে এখন প্রায় ১০০ জনকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে সলমন। এরকমই গুজরাটের ছেলে ইসমাইল খাতরি ২০০১ সালে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হওয়া কচ্ছের আজরাক প্রিন্টকে একার চেষ্টায় বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। বর্তমানে এই আজরাক প্রিন্ট কচ্ছের একটি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

[আরও পড়ুন:মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যর্থনায় এলাহি আয়োজন, জানেন কী কী থাকছে মেনুতে?]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে