Advertisement
Advertisement

Breaking News

মাও নেতা

বারবার নাম পালটে পুলিশের চোখে ধুলো, ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী হামলার মাথা এই অনল

অনল সিপিআই (মাওবাদী) বিহার-ঝাড়খণ্ড স্পেশাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক৷

Jharkhand maoist attack's mastermind identified as Anal Majhi
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 30, 2019 3:00 pm
  • Updated:May 30, 2019 5:02 pm

সুমিত বিশ্বাস: ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী দমন অভিযানে ধারাবাহিক আইইডি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ডকে চিহ্নিত করে ফেলল রাজ্য পুলিশ৷ তার নাম অনল মাঝি। রাজ্যের পুলিশ এই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই হামলাস্থল এবং লাগোয়া এলাকায়  বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই শীর্ষ মাওবাদী নেতার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের মাও স্কোয়াড কমান্ডার মহারাজ প্রামাণিক ও সিপিআই (মাওবাদীর)-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক আকাশ ওরফে অসীম মণ্ডলের যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুলিশের তরফে।

[ আরও পড়ুন: জয়ের ‘পুরস্কার’, মন্ত্রিত্বের পথে দিলীপ-শান্তনু-কুনার হেমব্রম]

অনল মাঝির খোঁজে ঝাড়খণ্ডে যৌথ বাহিনী তল্লাশি শুরু করলেও এই নেতা সম্বন্ধে বিস্তারিত কোনও তথ্য নেই। ফলে তাকে খুঁজে বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বাহিনীকে। পুরুলিয়ার সীমানা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁয়া জেলার কুচাই থানার রায়সিঁদরি পাহাড়ে মঙ্গলবার ভোররাতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ঝাড়খণ্ডের যৌথ বাহিনীর এগারো জন জখম হন। ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিআই(মাওবাদী)র বিহার-ঝাড়খণ্ড স্পেশাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনল মাঝিই এর মাস্টারমাইন্ড। তিনি রমেশ, তুফান, অনলদা, পতিরাম মাঝি, পতিরাম মারান্ডি – এমন নানা নাম নিয়ে সক্রিয়ভাবে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই একাধিক নামধারণ তার৷ অনল মাঝির বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার পীড়টাঁড় থানার জরাবালে গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছে অনল৷ ঝাড়খণ্ড পুলিশ তার মাথার দাম ধার্য করেছে ২৫ লক্ষ টাকা।

Advertisement

mao-leader

Advertisement

এদিকে জঙ্গলমহলে ভোটের কাজ সেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী শিবিরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ড সীমানার বিস্তীর্ন এলাকাজুড়ে লং রুট পেট্রলিং শুরু করেছে। ডগ স্কোয়াড ও মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে চলছে তল্লাশি। এমনকী জঙ্গলে সর্বদা ওৎ পেতে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। ঝাড়খণ্ডের যে এলাকায় এই নাশকতা ঘটেছে, সেই রায়সিঁদরি পাহাড় দলমা ও সারান্ডার একেবারে মাঝখানে৷ ফলে এখান থেকে সারান্ডা ও দলমা পাহাড়ঘেরা জঙ্গলে যাওয়া যায়। অপরদিকে রয়েছে মাওবাদীদের আরেকটি শক্ত ঘাঁটি তামাড়। এই নাশকতার পর পুরুলিয়া জেলা পুলিশের ধারণা, আকাশের স্কোয়াডও এখন অনল মাঝির স্কোয়াডের সঙ্গে রয়েছে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে৷ যৌথ বাহিনীর উপর ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যই কি দলমা থেকে বাংলার মাও স্কোয়াডকে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? তা খতিয়ে দেখছে ঝাড়খন্ড পুলিশ। কারণ, অতীতে কখনোই ঝাড়খণ্ডের এই এলাকায় আকাশের যাতায়াত ছিল না।

ছবি: অমিত সিং দেও৷

[ আরও পড়ুন: জেটলির অসুস্থতা ফেরাচ্ছে পারিকরের স্মৃতি, এগোল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর ছেলের বিয়ে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ