সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা যুদ্ধেই সম্ভবত বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসতে চলেছেন বর্তমানে কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা। অমিত শাহর উত্তরসূরী হিসেবে আজ বিকেলে তাঁর অভিষেক হবে। ওই পদে এখনও পর্যন্ত অন্য কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই তাঁর নাম ঘোষণা করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি। নাড্ডার সংবর্ধনায় হাজির থাকবেন সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
রবিবার রাতে দলের কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে আজকের সময়সূচি স্থির করে দিয়েছেন অমিত শাহ। প্রথমে ঠিক ছিল, সোমবার সকাল ১০টা থেকে ভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু পরে তা বদল করা হয়। তার কারণ, সকাল ১১টা থেকে দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর। পূর্ব নির্ধারিত এই কর্মসূচিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাই সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টি কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। দুপুর আড়াইটে নাগাদ নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার কথা। নীতীন গড়করি, রাজনাথ সিং, অমিত শাহর ছেড়ে যাওয়া দায়িত্বে এবার আসছেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। বিকেল চারটে নাগাদ দিল্লিতে বিজেপির সদর কার্যালয়ে মহা ধুমধামে তাঁর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ফুল, মালা, মিষ্টি – সবই প্রচুর পরিমাণে আনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে নতুন সভাপতি বরণের তোড়জোড়। সোমবার সকাল সকাল সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
[আরও পড়ুন: শাহিনবাগে বাস্তুচ্যুত কাশ্মীরি পণ্ডিতরা, তুললেন ঘরে ফেরার দাবি]
তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন একেবারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, এমনটা বিরল বলেই জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। দিল্লির অশোকা রোডে যাঁদের নিত্য যাতায়াত, তাঁরা জানেন যে জেপি নাড্ডা মোদি-শাহর বেশ পছন্দের। সূত্রের খবর, প্রথমে বিজেপির সংসদীয় কমিটির সদস্য তথা অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করিরা পরবর্তী সভাপতি হিসেবে নাড্ডার নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সিলমোহর দেয় বিজেপির জাতীয় পরিষদ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতেই দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হবে।
এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিজেপি। দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ রাজ্যেই শাহ ঘনিষ্ঠ নেতাদের উপরেই ভার দেওয়া হয়েছে অথবা তাঁদের পুনর্বহাল করা হয়েছে। যা দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, অমিত শাহ পরবর্তী সময়ে নাড্ডাকে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসিয়ে সংগঠনের রাশ কার্যত নিজেদের হাতে রাখাটাকেই সহজ করে তুললেন মোদি অ্যান্ড কোং।