Advertisement
Advertisement

Breaking News

নরেন্দ্র মোদি পাওয়ার গ্রিড

প্রধানমন্ত্রীর কথায় আলো নেভালে হতে পারে বিপর্যয়! আশঙ্কায় পাওয়ার গ্রিড কর্তারা

রাস্তার বা হাসপাতালের আলো নেভানো হবে না, চাপের মুখে বিবৃতি কেন্দ্রের।

Power grid managers in alert mode for ensuring grid stability
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 4, 2020 4:08 pm
  • Updated:April 4, 2020 4:23 pm

সংবাদ প্রতিডিন ডিজিটাল ডেস্ক: লডকডাউনে দেশবাসীর মনোবল বৃদ্ধিতে নয়া দাওয়াই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আগামী রবিবার রাত ৯টায় ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে নিজের বাড়ির বারান্দায় এসে প্রদীপ, মোমবাতি বা টর্চের আলো জ্বালাতে ও একযোগে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মোদির এই ঘোষণায় প্রমাদ গুনছেন দেশের পাওয়ার গ্রিডগুলির কর্তারা। তাঁদের আশঙ্কা, হঠাৎ দেশজুড়ে সবাই বাড়ির আলো নেভালে আচমকা জোরাল ধাক্কা খেতে পারে পাওয়ার গ্রিড। আবার ৯ মিনিট পর সবাই একসাথে আলো জ্বালিয়ে দেবেন, সেক্ষেত্রে আবার আগের মতোই বিদ্যুতের স্রোত প্রয়োজন হবে। চাহিদার এই টানাপড়েনে ঘটতে পারে বড়সড় বিপর্যয়। এই ঘটনার ফলে দেশে ব্ল্যাকআউট হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন গ্রিড কর্তারা।

electric supply line
ছবিটি প্রতীকী

স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (State Load Despatch Centre) বা এসএলডিসি মনে করছে, হঠাৎ একসাথে এই আলো নেভা-জ্বলা দেশে গ্রিড বিপর্যয় এনে দিতে পারে। সংস্থার কর্তারা বলছেন, ভারতের গ্রিডগুলির বিদ্যুৎ ধরে রাখার ক্ষমতা ৩৭০ গিগা ওয়াটের কাছাকাছি। সাধারণত ভারতে কমবেশি ১৫০ গিগা ওয়াটের চাহিদা থাকে। বিদ্যুতের চাহিদা কমে গেলে বেরা যাবে সাশ্রয়। যা গ্রিডগুলির ধারণ ক্ষমতার থেকে বেশি হয়ে গেলেই বিপদ। একই ধারণা নিউক্লিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের। সংস্থার এক কর্তা বলছেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর কথামতো আলো নেভানোও হয়, অন্তত ফ্যান এবং এসি চালু রাখতে হবে। যাতে বিদ্যুতের সাশ্রয় অতিরিক্ত না হয়। এর ফলে গ্রিড বিপর্যয়ে দেশে ‘ব্ল্যাক আউট’ হয়ে যেতে পারে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ওরা বাড়ি না জ্বালিয়ে দেয়’, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনকে কটাক্ষ শিব সেনা সাংসদের]

যদিও এই সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “কিছু কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও বলা হচ্ছে, এর ফলে গ্রিড বিকল হতে পারে এবং ভোল্টেজের সমস্যা হতে পারে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং বিপথগামী।” কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, ওই সময় রাস্তার আলো বা বাড়ির বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র বন্ধ হবে না। শুধু বাড়ির আলো বন্ধ হবে। তাছাড়া হাসপাতালের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা চালু থাকবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ