১৯ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  সোমবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

চার রাজ্যের রায়

মধ্যপ্রদেশ (২৩০/২৩০) এগিয়ে / জয়ী
বিজেপি ১৬৪
কংগ্রেস ৬৫
অন্যান্য
রাজস্থান (১৯৯/২০০) এগিয়ে / জয়ী
বিজেপি ১১৫
কংগ্রেস ৬৯
অন্যান্য ১৫
ছত্তিশগড় (৯০/৯০) এগিয়ে / জয়ী
বিজেপি ৫৪
কংগ্রেস ৩৫
অন্যান্য
তেলেঙ্গানা (১১৯/১১৯) এগিয়ে / জয়ী
বিআরএস ৩৯
কংগ্রেস ৬৪
বিজেপি
এআইএমআইএম
অন্যান্য

উধাও ৭০ হাজার অনুপ্রবেশকারী, অসম সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

Published by: Soumya Mukherjee |    Posted: April 2, 2019 10:07 am|    Updated: April 2, 2019 10:07 am

SC irked over absconding foreigners, summons Assam Chief Secy.

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক :  জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের আগে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে অসম সরকার। রাজ্য সরকারের পেশ করা রিপোর্ট দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। রাজ্য সরকার তার দেওয়া রিপোর্টে জানায়, অসমের ৭০ হাজার অনুপ্রবেশকারীনিরুদ্দেশ‘ হয়ে গিয়েছে। এই রিপোর্টে দেখেই অসম সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট।

রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, “ঘোষিত অনুপ্রবেশকারীরাই যদি এভাবে রাতারাতি ভ্যানিশ হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে কী হবে?” ২০১৮-র ৩০ জুলাই অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছিল। ওই খসড়া তালিকায় বাদ পড়েছিলেন অসমের প্রায় ৪০ লক্ষ নাগরিক। যার মধ্যে ৭০ হাজার অসমবাসীকে কার্যত অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিতই করা হয়েছিল। এরপর এনআরসি-র প্রকাশিত খসড়ায় একাধিক ত্রুটি রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই তালিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হয় একাধিক মামলা। অনুপ্রবেশকারীদের জন্য তৈরি ‘ডিটেনশন ক্যাম্পগুলি‘ নিয়েও একাধিক মামলা দায়ের হয়। মন্দার নামে এক ব্যক্তি একাধিক ডিটেনশন ক্যাম্পে ঘুরে তথ্য সংগ্রহের পর মামলা দায়ের করেছিলেন।

[আরও পড়ুন- দুই ভায়ের বিবাদে ভাঙল লালুপ্রসাদের আরজেডি, নয়া দল গড়ছেন তেজপ্রতাপ ]

মন্দার তাঁর আবেদনে জানান, ডিটেনশন শিবিরগুলির হাল খুব করুণ। শিবিরে থাকা মানুষজন সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি নাগরিকত্ব নির্ধারণে পদ্ধতিগত একাধিক ত্রুটি রয়েছে। মন্দারের সেই মামলাই এদিন শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে ওঠে। শুনানি শুরু হলে অসম সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে লিখিত হলফনামা দিয়ে জানান, ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল ৭০ হাজার অসমবাসীকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু, দেশে ফেরত পাঠানোর আগেই তাঁরা কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের খোঁজ মিলছে না। মেহতা দাবি করেন, ওই ৭০ হাজার চিহ্নিত অনুপ্রবেশকারী অসমের সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন।

[আরও পড়ুন-‘রাজ্যে বিজেপি আসবে না, এনআরসিও হবে না’, অমিত শাহকে জবাব ফিরহাদ হাকিমের]

সলিসিটর জেনারেলের পেশ করা এই পরিসংখ্যান দেখে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন গগৈ। তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি মেহতার কাছে জানতে চান, তা হলে এখনও যাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই চূড়ান্ত হয়নি, তাঁদের কী হবে? অসম সরকারের পেশ করা বক্তব্যে বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মুখেও বিরক্তি ফুটে ওঠে।

[আরও পড়ুন-সাসপেন্ডেড অফিসারের সমর্থনে ডিজিকে হুমকি, রেল কর্তার টুইটে বিতর্ক]

এদিনের শুনানিতে অসমের মুখ্যসচিবকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু, সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে মুখ্যসচিব এদিন এজলাসে অনুপস্থিত ছিলেন। মুখ্যসচিবের গরহাজিরা নিয়েও অসম সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে বেঞ্চ। আগামী ৮ এপ্রিল তাঁকে আদালতে আসার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। এরপর বিরক্ত গগৈ রাজ্যের কৌঁসুলি তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনার সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়েও ছেলেখেলা করছে। সরকার যে হলফনামা পেশ করেছে সেটা অসম্পূর্ণ। আপনাদের এই অসহযোগিতা আমরা মুখ বুঝে সহ্য করব না।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে