সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোর করে সরকারি স্কুলে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল এক মহিলাকে। সেখানেই যৌন লালসার শিকার হলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে স্কুলে ঢুকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের জয়পুরের এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে এহেন পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত গোটা দেশ।
করোনার ত্রাসে থরহরিকম্প গোটা দেশ। দ্বিতীয়দফা লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে রয়েছে দেশ। তারমধ্যে একের পর এক ধরনের ঘটনা সামনে আসছে। কখনও হাসপাতাল যাওয়ার পথে গাড়িতে গণধর্ষিতা হচ্ছেন তরুণী। কখনও আবার খাবারের লোভ দেখিয়ে কিশোরীর উপর পাশবিক অত্যাচার করছেন পড়শিরা। আবার কখনও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঢুকে নিজেদের পাশবিক কামনা চরিতার্থ করছেন কেউ-কেউ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, লকডাউন চলাকালীন অপরাধপ্রবণতা কমবে। কিন্তু চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা কমলেও মহিলাদের উপর নির্যাতন ও ধর্ষণ চলছেই। এবার সেই পাশবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের জয়পুর।
[আরও পড়ুন : লকডাউনের লজ্জা! হাসপাতালে যাওয়ার পথে নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার আদিবাড়ি সাওয়াই মাধোপুরে। কিন্তু তিনি একা জয়পুরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। লকডাউনে চলায় সেখানেই আটকে পড়েছিলেন। চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। ফেরার সময় পথ হারিয়ে ফেলেন ওই মহিলা। হাজির হন সাওয়াই মাধোপুরের বাটোডা পুলিশ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে গ্রামবাসীরা তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান। গুজব ছড়ান ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত একটি সরকারি স্কুলে কার্যত বন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। পুলিশ খবর পেয়ে গ্রামে হাজির হন। গ্রামবাসীকে ওই মহিলাকে ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু সেই কথা কানে তোলেনি তারা। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতেই স্কুলে ঢুকে গণধর্ষণ করে গ্রামের তিন যুবক। শুক্রবার বাটোডা পুলিশে স্টেশনে অভিযোগ জানান ওই প্রৌঢ়া। পরে তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।