Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপির নয়া কর্মসূচি

‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচির পালটা, ১০ দফা চার্জশিট নিয়ে মাঠে নামছে বঙ্গ বিজেপি

'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচির দ্বিতীয় দফার প্রচার শুরু করছে বিজেপি।

BJP Launches new campaign to counter Banglar Gorbo Mamata

ফাইল ছবি

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 8, 2020 8:31 pm
  • Updated:June 20, 2022 6:17 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে দশ দফা চার্জশিট নিয়ে রাজ্যের পাঁচ কোটি মানুষের কাছে যাবে বিজেপি। ‘বাংলার গর্ব মমতা’ তৃণমূলের এই কর্মসূচির পালটা কৌশল গেরুয়া শিবিরের। গত ১ মার্চ শহিদ মিনারের সভা মঞ্চ থেকে দলের ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির সূচনা করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দফার প্রচার শুরু করছে বিজেপি।

এমনই জানিয়ে রবিবার দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচার ১৫ মার্চ থেকে শুরু হবে। তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা ও রাজ্যের দুর্দশা নিয়ে দশ দফা চার্জশিট ও সংকল্প পত্র তৈরি করা হয়েছে। পাঁচ কোটি মানুষের কাছে যাওয়া হবে।” দশটি ভিডিও তৈরি হচ্ছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারের পালটা কৌশল হিসেবে জন সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে আসন্ন পুরসভা ও আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির। প্রচারের বিষয় থাকছে, ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ, উদ্বাস্তুদের ব্রাত্য করে রাখা, তৃণমূল সরকারের সার্বিক ব্যর্থতা, সিপিএমের ৩৪ বছরে শাসনের নামে শোষণ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বছরে একবারই তো দোল হয়’, শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব বাতিলে মনখারাপ দিলীপের]

আসন্ন পুরসভা নির্বাচন নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতে রবিবার কলকাতায় আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে বৈঠক করে বঙ্গ বিজেপি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ, দলের কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় প্রমুখ। প্রথমে কলকাতা ও হাওড়া ছাড়া অন্য পুরসভাগুলি নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে জেলা সভাপতি ও ওয়ার্ডের নেতারাও ছিলেন। পরের বৈঠকটি ছিল কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা নিয়ে। দলীয় সূত্রে খবর, প্রার্থী তালিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ঠিক হয়েছে, মোট প্রার্থী তালিকার ১৫ শতাংশ অন্য দল থেকে আসা নতুনরা জায়গা পাবে। বাকি ১৫ শতাংশ সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিরা প্রার্থী হবে। আর ৭০ শতাংশ প্রার্থী করা হবে দলের পুরনোদের থেকে। মনে করা হচ্ছে, প্রার্থী করা নিয়ে নতুন-পুরনো দ্বন্দ্ব মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত। কলকাতা পুরসভায় হেভিওয়েট রাজ্য নেতারাও প্রার্থী হচ্ছেন বলে খবর। বিএল সন্তোষ বলেছেন, স্থানীয় ইস্যু নিয়ে প্রচার ব্যক্তি আক্রমণ নয়। ওয়ার্ড কমিটিতে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে রাখতে হবে। বুথকে শক্তিশালী করা। রাজ্য নেতাদের তাদের এলাকার ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ার জন্যও প্রস্তুত থাকতে বলেছেন বিএল সন্তোষ।

এছাড়া, প্রতিটি পুরসভা ও ওয়ার্ডের জন্যও আলাদা ইস্তাহার তৈরি করা হচ্ছে। এদিন বৈঠকে, বিভিন্ন পুরসভার পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতিদের আলাদা করে জানতে চান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুরভোট নিয়ে কার্যত পাঠ দেন তিনি।

[আরও পড়ুন: ‘স্বাভাবিক ঘটনা’, নাড্ডার ছেলের বিয়েতে গুরুংয়ের উপস্থিতি নিয়ে সাফাই দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ