Advertisement
Advertisement

Breaking News

Sajal Ghosh

বিজেপিকে ভোট দেব কেন? প্রশ্ন শুনেই প্রচারে ফুঁসে উঠলেন সজল ঘোষ

জয় বাংলা স্লোগান শুনে এলাকা ছাড়লেন বিজেপি প্রার্থী।

Sajal Ghosh looses cool during Baranagar campaign

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 30, 2024 8:11 pm
  • Updated:April 30, 2024 8:13 pm

অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের। ভোটারের প্রশ্নের মুখে পড়ে ফের মেজাজ হারিয়ে কথা কাটাকাটিতে জড়ালেন তিনি। জয় বাংলা স্লোগান শুনে এলাকা ছাড়লেন বিজেপি প্রার্থী।

বরানগর বিধানসভার অন্তর্গত কামারহাটি পুরসভার ১৯ এবং ২০নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রচার করছিলেন উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী। সেই সময় কামারহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর লক্ষ্মী বিশ্বাসের ছেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা চিরঞ্জীব বিশ্বাসের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চর্চা শুরু হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অনির্বাণের সঙ্গে ডিভোর্স? মুখ খুললেন অভিনেতার স্ত্রী মধুরিমা]

ভিডিওটিতে দেখা দিয়েছে, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মাইক হাঁকিয়ে প্রচার করছিলেন সজল। সেই সময় স্থানীয় যুবকদের সঙ্গে নিয়ে চিরঞ্জীব বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষকে বলেন, তাঁরা বেশিরভাগই নতুন ভোটার। প্রশ্নের সদুত্তর পেলে বিজেপিকে তাঁরা ভোট দেবেন। এর পরই উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থীর উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, “আমরা নোটায় কেন ভোট দেব না? বিজেপিকে কেন ভোট দেব?” প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে সজল ঘোষ তাঁদের প্রশ্ন করেন, “মানুষ তৃণমূলকে কেন ভোট দেবে, নোটায় কেন ভোট দেবে না?” তখন চিরঞ্জীব রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্পের কথা বলে ফের বিজেপি প্রার্থীকে একই প্রশ্ন করলে মেজাজ হারিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন সজল। আশপাশ থেকে জয়বাংলা স্লোগান উঠতে শুরু করলে এলাকা ছাড়েন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার পরই বিক্ষোভের মুখে রেখা পাত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া মহিলাদের!]

এর আগেও প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূল কাউন্সিলর অনেকের সঙ্গেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়েছিলেন সজল ঘোষ। বার বার একইরকম ঘটনা ঘটায় এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও প্রার্থীর মেজাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যার সঙ্গে সজল ঘোষ তর্কে জড়িয়ে ছিলেন সেই চিরঞ্জীব বিশ্বাস জানান, “প্রশ্ন করার পর আমাদের বক্তব্য ছিল প্রার্থী আপনি, জনগণ আপনাকে প্রশ্ন করবে, আপনি উত্তর দেবেন। আপনি পালটা কেন প্রশ্ন করবেন? তিনি যদি প্রশ্ন শুনে রেগে যান, তাহলে উনি যদি বিধায়ক হন তখন মানুষ সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি রেগে যাবেন না, বিরক্ত হবেন না, এর কি গ্যারান্টি আছে?” যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপির বরানগর মণ্ডল ৪-এর সভাপতি সৌমেন মিশ্রি বলেন, “এটা আমাদের কাছে বিতর্ক নয়। সজল ঘোষ প্রতিটি মানুষের কাছে যাচ্ছেন এবং সমর্থন পাচ্ছেন। এতেই তৃণমূলের আঘাত লাগছে। তাই তারা প্রার্থী প্রচারে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ