Advertisement
Advertisement

Breaking News

মেট্রো

মেট্রোয় আত্মহত্যা রুখতে রয়েছে হেল্পলাইন, বাঁচতে চেয়ে ২০ বছরে আসেনি দশটি ফোনও

চলতি সপ্তাহে মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনজন।

Suicide prevention helpline launches, but no one called in last 20 years

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 14, 2019 8:59 am
  • Updated:September 14, 2019 8:59 am

নব্যেন্দু হাজরা: বছর কুড়ি পার। কিন্তু কুড়ি বছরে দশ যাত্রীও বাঁচতে চেয়ে ফোন করেননি। যে কয়েকজন করেছেন, তাও বছর তিনেকের মধ্যে। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করতে যাওয়া যাত্রীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে মেট্রো স্টেশনে নম্বর দিয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। উদ্দেশ্য, কেউ আত্মহত্যা করবেন বলে মেট্রো স্টেশনে এলে এই বিজ্ঞাপন দেখে তাঁর যদি শুভবুদ্ধির উদয় হয়! কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি কিছুই।

[আরও পড়ুন: দু’শো কোটির বিনিয়োগ গুটিয়ে রাজ্য ছাড়ার হুমকি শিল্পদ্যোগীর, কাঠগড়ায় পর্যটনমন্ত্রী]

জীবন বাঁচাতে মেট্রোর সঙ্গেই ওই সংস্থা এই কাজ শুরু করেছিল প্রায় বছর কুড়ি আগে। কিন্তু সূত্রের খবর, প্রায় দুই দশকে মেরেকেটে জনা দশেকের ফোন এসেছে দপ্তরে। ফলে মেট্রোয় ঝাঁপের ঘটনা আটকানো যায়নি। কেউ বা চালকের সচেতনতায় প্রাণে বাঁচছেন। আবার অনেকেই চলে যাচ্ছেন চাকার তলায়। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ১১ জন চলন্ত মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন। তার মধ্যে চার জন মারা গিয়েছেন। সাতজনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তথ্যই বলছে, শত চেষ্টাতেও আটকানো যাচ্ছে না পাতালে ঝাঁপের ঘটনা। ফলে একদিকে যেমন প্রাণ যাচ্ছে মানুষের। তেমনই ভুক্তভোগী হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

মেট্রোসূত্রে খবর, ২০১৭ সালে মেট্রোয় ঝাঁপের ঘটনা ঘটেছিল ২০টি। তারমধ্যে চার জন মারা গিয়েছেন। ১৬ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ২০১৮ সালে মেট্রোর সামনে ঝাঁপের সংখ্যা আরও বেড়েছে। ২১ জন ঝাঁপ দিয়েছেন। তারমধ্যে ১৯জনকে বাঁচানো গিয়েছে। তবে যাঁরা বেঁচেছেন, তাঁদের অধিকাংশই নানাভাবে পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন। কারও বা পা বাদ গিয়েছে, কারও বা হাত। কেউ বা শয্যাশায়ী হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যে উদ্যোগ তা কাজে আসেনি। শুধু এনজিও নয়, যাত্রীদের সর্বক্ষণের সুরক্ষায় মেট্রো কর্তৃপক্ষও একাধিক নম্বর রেখেছে। যে কোনও সমস্যাতেই সেখানে ফোন করা যায়। কিন্তু কোনও কিছুতেই আত্মহত্যার ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না কলকাতা মেট্রোয়।

Advertisement

সাধারণ যাত্রীদের সুরক্ষায় ১৮২ এবং ৯০০৭০৪১৭৮৯ এবং মহিলা সুরক্ষায় ৯০০৭০৪১৯০৮ নম্বর দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অনেক চেষ্টা তো হচ্ছে। কিন্তু মেট্রোই যেন আত্মহত্যা করার সেফ জায়গা হয়ে গিয়েছে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, চালক এবং আরপিএফ কর্মীদের সচেতনতায় ঝাঁপ দেওয়া অধিকাংশ যাত্রীকেই বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তাই আরপিএফদের উপর ভরসা আর সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায় নেই। তবুও রেল পুলিশ একটু সন্দেহজনকভাবে কাউকে স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই আটক করে।

[আরও পড়ুন: উঠল রক্ষাকবচ, যে কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা রাজীব কুমারের]

এভাবেই বেশ কয়েকজনকে মৃত্যুমুখ থেকে ফেরানো হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার এক কর্তার কথায়, “বছর তিনেকের মধ্যে বেশ কয়েকজন ফোন করেছিল স্টেশনে ঢুকে। তাঁরা কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা জানিয়েছিল। আমাদের ভলান্টিয়ররা, সব শুনে তাঁদের বুঝিয়ে আত্মহত্যা করা থেকে বাঁচিয়েছে।” মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা তো আত্মরক্ষা রুখতে সব ব্যবস্থাই করছি। নজরদারিও চলছে। হেল্পলাইন নম্বরও খোলা রয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ