সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের কোনও বিকল্প নেই। এর চেয়ে সত্যি সম্পর্ক হয় না। সন্তানের সুরক্ষায় সবকিছু করতে পারেন মা। এমনকী নিজের জীবন বিপন্ন করতেও পিছপা হন না। সম্প্রতি এমনই এক দৃশ্যের সাক্ষী হল সোশ্যাল মিডিয়া। টুইটারে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেল, পাহাড়ি নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে শাবক, তাকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচাচ্ছে মা হাতি (Elephant)।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি উত্তরবঙ্গের (North Bengal) নাগরাকাটার অভয়ারণ্যের। ভিডিওটি পোস্ট করেন বন আধিকারিক প্রবীণ কাসওয়ান। টুইটারে ওই ভিডিওর সঙ্গে ক্যাপশানে তিনি লেখেন- “দেখার মতো একটি ভিডিও। ডুবে যাচ্ছিল শিশু, মা হাতি সন্তানকে রক্ষা করল। উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটার দৃশ্য।”
[আরও পড়ুন: মদের নেশায় চূর পাত্র, হবু শ্যালিকার গলায় দিলেন বরমালা, তারপর…]
ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছি, নাগরকাটার অভয়ারণ্যের পাহাড়ি নদী ডিঙোচ্ছে হাতির একটি দল। তখনই ঘটে বিপত্তি। গোটা দল নদীর অপর পাড়ে উঠে পড়লেও একটি শাবক তীব্র স্রোত ডিঙিয়ে কিছুতেই পাড়ে উঠতে পারছিল না। এই অবস্থায় শিশুটি জলের তোড়ে বেশ খানিকটা ভেসেও যায়। ঘটনা খেয়াল করে তার মা। সঙ্গে সঙ্গে নিজের জীবন বিপন্ন করে শিশুকে বাঁচাতে নামে সে। বেশ খানিকটা কসরতের পর সুর দিয়ে সন্তানকে উদ্ধার করে পাড়ে তুলে দেয়। এরপর হাতির দলটি হাঁটা দেয় গন্তব্যে। নির্ভেজাল মাতৃত্বের এই ভিডিও মন জয় করেছে নেটিজেনদের। এখনও পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজার ভিউ হয়েছে ভিডিওটির। লাইক করেছেন সাতাশ হাজারের বেশি মানুষ।
Mother elephant saving calf from drowning is the best thing you watch today. Video was shot near Nagrakata in North Bengal. Via WA. pic.twitter.com/aHO07AiUA5
— Parveen Kaswan, IFS (@ParveenKaswan) June 25, 2022
[আরও পড়ুন: গুজরাট দাঙ্গায় ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ, বাড়ি থেকে আটক সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ]
ক’দিন আগে ভাইরাল হয়েছিল শাবক হাতির ‘ভিভিআইপি’ নিরাপত্তাবেষ্টনির ভিডিও। বড়দের ভিড়ের মাঝে ছোট্ট শাবককে দেখা গিয়েছিল। বড়দের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছিল সে। নবজাতক সেই হাতিটি যাতে কারও শিকার না হয়, তাই এমন নিরাপত্তার বেড়া তৈরি করেছিল হাতির দল। এমনভাবে দলটি এগোচ্ছিল মনে হচ্ছিল যেন শাবকটি ভিআইপি। আর তাকে নিরাপত্তর চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে সুকৌশলে। ভিডিয়োটি শেয়ার করেন বনাধিকারিক সুশান্ত নন্দ। ক্যাপশনে লেখেন, “এই নিরাপত্তাকে জেড প্লাস প্লাস প্লাস নিরাপত্তা বলা যায়।”