Advertisement
Advertisement

১২২ বছর বয়সে মৃত্যু, বিশ্বের প্রবীণতম মহিলার পরিচয় নিয়েই ধন্দ

গোড়ায় গন্ডগোল!

World's oldest woman lied About Age
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 6, 2019 7:45 pm
  • Updated:January 6, 2019 8:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেনে ক্ল্যামেন্ট, খাতায় কলমে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচা মানুষ। ১৯৯৭ সালে যখন তাঁর মৃত্যু হয়, তখন বয়স ছিল ১২২ বছর। কিন্তু, মৃত্যুর প্রায় ১১ বছর পর তাঁর পরিচয় নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। একজন রাশিয়ান গণিতজ্ঞের দাবি, জেনে ক্ল্যামেন্ট ৯৯ বছর বয়সেই মারা গিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে নিজের মায়ের পরিচয় নিয়ে বেঁচেছিলেন জেনের মেয়ে ইয়োভন ক্ল্যামেন্ট। ১৯৩০ সালেই কর ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে মায়ের পরিচয় নিয়ে আত্মগোপন করেন ইয়োভন। 

[OMG! সাইকেলের ধাক্কায় চুরমার গাড়ি]

রাশিয়ার গণিতজ্ঞ নিকোলাই জ্যাকের দাবি জেনে ক্ল্যামেন্ট নামে যে মহিলা বেঁচে ছিলেন তিনি আসলে ইয়োভন ক্ল্যামেন্ট। তাঁর যুক্তির স্বপক্ষে প্রমাণও পেশ করেছেন জ্যাক। তাঁর দাবি, ১৯৩০ সালে একটি পাসপোর্টে জেনে যে উচ্চতা দেখিয়েছিলেন, মৃত্যুর সময় তাঁর উচ্চতা সেই উচ্চতার থেকে ১ ইঞ্চি কম ছিল। এমনিতে বয়স অত্যাধিক বেশি হলে উচ্চতা সামান্য কমতে পারে। কিন্তু ১ ইঞ্চি কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক। জ্যাকের আরও দাবি, শেষ বয়সে জেনের চোখের যে রং ছিল তা ১৯৩০ সালে দেখানো চেখের রংয়ের থেকে আলাদা। তাছাড়া, কপাল এবং চিবুকের গঠনও শেষ বয়সে অন্য ধরনের ছিল। জ্যাকের দাবি, মা জেনের পুরনো সব ছবি নষ্ট করে নিজেই আমৃত্যু মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে গিয়েছেন ইয়োভন। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে জেনে ক্ল্যামেন্টের নামই নথিভুক্ত আছে। জ্যাক তা সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

[চিতাশাবকের মা সিংহী! নেটদুনিয়ায় ভাইরাল মাতৃত্বের কাহিনি]

যদিও, গবেষকদের অনেকেই জ্যাকের এই দাবি খারিজ করে জানিয়েছেন জেনে ক্ল্যামেন্ট আসল ছিলেন, এবং তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে মারা যান। নিজেদের বক্তব্যের যুক্তি হিসেবে বিজ্ঞানী জেন-মারি রবিনে বলেন, “এই যুক্তিগুলির কোনও শক্ত ভিত্তি নেই। তাই জেনের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও মানে হয় না।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ