Advertisement
Advertisement
Mock Drill

অপারেশন সিঁদুরের আবহেই শহরজুড়ে যুদ্ধের মক ড্রিল, প্রস্তুতি স্কুলে স্কুলে

রাজ্যের ৩১টি জায়গায় মকড্রিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পেহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। 'অপারেশন সিঁদুর' চালিয়ে জবাব দিয়েছে দেশ।

মঙ্গলবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের আগে, দেশজুড়ে মকড্রিলের নির্দেশ জারি করা হয়। যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে, সুরক্ষিত থাকতে প্রাথমিকভাবে নাগরিক ও স্থানীয় প্রশসান প্রথম কী পদক্ষেপ করবে সেই মহড়ার সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

দেশের কোথায় কোথায় মকড্রিল হবে? তা নির্দেশিকা দিয়ে জানায় কেন্দ্র। রাজ্যের ৩১টি জায়গায় মকড্রিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী, আজ, বুধবার দেশের বিভিন্ন স্থানে মহড়া শুরু হয়েছে। কলকাতার লামার্টিনিয়াস ফর বয়েজ স্কুলে মকড্রিলের মহড়া করা হয়।

শিক্ষকরা ছাত্রদের বুঝিয়ে দেন কোন সাইরেন বাজলে কী করতে হবে। সেই মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় মহড়া। ১১:২৫ নাগাদ প্রথম সাইরেন বাজতেই ক্লাস রুমের মধ্যে ডাক ডাউন করে, অর্থাৎ সেফ শেল্টার তারা নেয়। এরপর ১১টা ৩০মিনিটে দ্বিতীয় সাইরেন বাজতেই তারা শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসে।

এরপর স্কুলের মাঠে তাদের মহড়া চলে। সেখানে আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আবার সাইরেন বাজিয়ে তাদের সতর্ক করা হলে তারা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। শেষে ফের আরও একটা সাইরেন বাজিয়ে তাদের অ্যালার্ট করা হয় যে বিপদ কেটে গিয়েছে।

মহড়া হয় দিল্লি পাবলিক স্কুল রুবি পার্কেও। সাইরেন বাজলে কী করতে হবে তা শেখানো হয় পড়ুয়াদের। মহড়ায় অংশ নেন স্কুলের শিক্ষকরাও।

লামার্টিনিয়াস ফর গার্লস স্কুলেও সেই মহড়া হয়। শিয়ালদহ ডিআরএম স্পোসর্ট গ্রাউন্ডেও মকড্রিল করা হয়।

কলকাতার নামী বেসরকারি স্কুল ছাড়াও পুরাতন মালদহের একটি বেসরকারি স্কুলে মকড্রিলের আয়োজন করা হয়। মক ড্রিলের প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এক্স আর্মি বিপ্লব ঝাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দমকল বিভাগের কর্মীরা।

মকড্রিলে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয় সবাইকে। যাতে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে নিজে ও পাশে থাকা প্রতিবেশীদের প্রাণ রক্ষা করা যায়।