পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র।
এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই হামলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিদেশসচিব ও সেনা। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।
অপারেশন সিঁদুরের পরদিনই হামলার আগের ও পরের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। ম্যাক্সার প্রযুক্তি ব্যবহার করে হামলার আগের ও পরের ছবি দেখা যাচ্ছে। ওই স্যাটেলাইট ছবিতেই স্পষ্ট একাধিক পাক জঙ্গিঘাঁটি রীতিমতো গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
হামলায় যে ঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে গিয়েছে সেটার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বাহওয়ালপুরের মারকাজ সুবহান আল্লাহ। ২০১৫ সাল থেকে এই মারকাজ ছিল জইশ-ই-মহাম্মদের প্রধান প্রশিক্ষণ ও মতাদর্শ প্রচারের কেন্দ্র। জঙ্গি গোষ্ঠীর সদর দপ্তর হিসাবেও পরিচিত এই মারকাজ।
পুলওয়ামা হামলার জঙ্গিরা বাহওয়ালপুরের এই ঘাঁটি থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। কুখ্যাত জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার এই মারকাজে নিয়মিত যাতায়াত করত। রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটি।
মুরিদকের মারকাজ তইবাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। লস্কর-ই-তইবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই মারকাজটি। মুম্বই হামলার অন্যতম জঙ্গি আজমল কাসভ এখান থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.