Advertisement
Advertisement
Ebrahim Raisi

শুধু রাইসি নয়, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বিশ্বের তাবড় নেতারাও, রইল অ্যালবাম

তালিকায় রয়েছেন ভারতের দুই নেতাও।

১১

আকাশপথে উড়ান ভেঙে রাষ্ট্রনেতার মৃত্যু। একাধিকবার এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। প্রথমবার এমন দুর্ঘটনা ঘটে ১৯৩৬ সালে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী আরবিদ লিন্ডম্যান ব্রিটেন থেকে বিমানে চেপেছিলেন। ক্রয়ডন বিমানবন্দর থেকে টেক অফ করার খানিকক্ষণের মধ্যেই বসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি।

১১

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট, জনপ্রিয় নেতা রামন ম্যাগসাইসাইও বিমান ভেঙেই প্রাণ হারান। ১৯৫৭ সালের ১৭ মার্চ ফিলিপিন্সের সেবু শহরে রামন-সহ ২৫ জন যাত্রীকে নিয়ে একটি বিমান ভেঙে পড়ে। সেখানেই মৃত্যু হয় দুর্নীতিদমনের অন্যতম বিখ্যাত মুখ ম্যাগসাইসাইয়ের।

১১

১৯৫৮ সালে আবারও ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ব্রাজিলের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট নেরোউ র‍্যামোসের বিমান ভেঙে পড়ে বিমানবন্দরের কাছে। ১৬ জুন মৃত্যু হয় তাঁর।

১১

ইরাকের বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় সেদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল সালাম আরিফের। ১৯৬৬ সালের ১৩ এপ্রিল এই দুর্ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে বিপ্লব ঘটিয়ে রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন আরিফ।

১১

নিজের দেশের বায়ুসেনা বিমানের সঙ্গে মাঝআকাশে ধাক্কা লেগেছিল ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট কাস্তেলো ব্র্যাঙ্কোর বিমানের। তাও আবার প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ ফুরনোর মাত্র কয়েকদিন পরেই। বিমান ভেঙে মৃত্যু হয় ব্র্যাঙ্কোর। ১৯৬৭ সালের ১৮ জুলাইয়ের এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে তুমুল বিতর্ক ছড়ায়।

১১

বিমান ভেঙে মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম সঞ্জয় গান্ধী। পেশায় পাইলট, ইন্দিরা গান্ধীর পুত্র সঞ্জয় গান্ধী দিল্লির সফদরজং বিমানবন্দরে নিজের বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ১৯৮০ সালের ২৩ জুন মৃত্যু হয় কংগ্রেস নেতার।

১১

কপ্টারে বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারান লেবাননের প্রধানমন্ত্রী রশিদ কারামি। ১৯৮৭ সালের ১ জুন রাজধানী বেইরুটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। মাঝ আকাশেই বিমানে বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর।

১১

বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ জিয়া উল হকের। ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট বাহাওয়ালপুর থেকে টেক অফ করার পরেই ভেঙে পড়ে তাঁর হারকিউলিস বিমান। ষড়যন্ত্র করে বিমান দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলেও খবর ছড়ায় পাক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর।

১১

২০০১ সালে বিমান দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া। উত্তরপ্রদেশের মইনপুরীতে আচমকাই আগুন ধরে যায় তাঁর ব্যক্তিগত বিমানে। ৩০ সেপ্টেম্বরের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মাধবরাও সিন্ধিয়ার।

১০ ১১

চলতি বছরও কপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা। ফেব্রুয়ারি মাসে চিলির একটি হ্রদে ভেঙে পড়ে তাঁর হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু হয় দু দফায় চিলির প্রেসিডেন্ট থাকা সেবাস্তিয়ানের।

১১ ১১

১৯ মে ২০২৪। আজারবাইজান যাওয়ার পথে ইরানের পার্বত্য এলাকায় বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহাইন। কপ্টারে থাকা সরকারি আধিকারিকদেরও মৃত্যু হয়।